বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাবনার বেড়ায় এখন সাজ সাজ রব। দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে চলছে প্রস্তুতিপর্ব।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত রয়েছে বেড়ার মৃৎশিল্পীরা। উপজেলা সদর ছাড়াও গ্রাম গঞ্জে ইতি মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, প্রতিমা ও পূজা মন্ডপ তৈরীর কাজ।
স্থায়ী পূজামন্ডপগুলোতে মেরামতসহ রঙের কাজ চলছে। প্রায় সব মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
কোথাও কোথাও প্রতিমায় একাধিকবার মাটির প্রলেপ দেয়া হয়েছে। ফলে মৃৎশিল্পীদের এখন আর দম ফেলার সময় নেই।
উপজেলার ত্রিমোহনী গ্রামের মৃৎশিল্পী শশাঙ্ক পাল, মালদাহ পাড়া গ্রামের ষষ্ঠি পাল, চরপাড়া মহল্লার বিনয় পাল, পেচাকোলা গ্রামের প্রাণ গোপাল পালসহ আরও কয়েক জন প্রতিমা তৈরীতে বিশেষ পারর্দশী মৃৎশিল্পীর সাথে প্রতিমা তৈরী নিয়ে কথা হলে সবাই এখন প্রতিমা তৈরিতে খরচ বৃদ্ধির কথা জানান।
মৃৎশিল্পী শশাঙ্ক পাল জানায় মূর্তি তৈরীতে ব্যবহৃত সরঞ্জাধির মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মূর্তি তৈরীতে এখন অনেক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে প্রকার ভেদে মূর্তি প্রতি ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা মজুরী নিয়ে থাকে।
তাছাড়া এখন প্রতিমার পোশাক পরিচ্ছদ যেমন জ্বর্জেটের শাড়ী, হরেক রকমের পুতি, চুমকি ও জরি কাজের লেস, ডাইমন্ড পুতি, গোল্ড চুমকি, সিটি গোল্ডের গহনা এ ধরনের সাজসজ্জা কিনে আনতে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা টাকা লেগে যায় যা আগে মাটি আর রং দিয়ে তৈরী হতো।
বেড়া বাজারের কয়েকজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা জানান, পূজার গেট-প্যান্ডেল তৈরী কাজের অর্ডার পেয়ে নতুন নতুন আইটেমের কাপর সংগ্রহ শুরু করছি।
পুজা শুরু হওয়ার ১০/১২ দিন আগে থেকে গেট-প্যান্ডেল বানানো শুরু করবো। গেট-প্যান্ডেল ও লাইটিং এর ধরন অনুযায়ী ২০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে থাকি। আর বড় অর্ডার পেলে লাখ টাকার বেশি বিল হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বেড়া উপজেলা শাখার সভাপতি ভৃগু রাম হালদার জানান, এবার বেড়া উপজেলায় মোট ৪৫ টি পূজামন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর ৫৫ টি মন্ডবে পূজা হয়েছিল মূলত করোনার কারনেই এবার ১০ টি মন্ডবে হচ্ছে না পূজা।
এবারের পূজায় মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা থাকবে সারা পৃথিবীকে যেন মা দূর্গা করোনা মুক্ত করে দেয়।
আইনশৃঙ্খলার অবস্থা বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম আজাদ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শারদীয় দূর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায় যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দ মুখর পরিবেশে পালন করতে পারে তার জন্য আমরা সর্বাক্ত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
প্রত্যেকটি মন্দিরে আনসার বাহিনীর সদস্যসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ২৪ ঘন্টা সজাগ ও সর্তক পাহাড়ায় থাকবে বলেও জানান তাঁরা।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়