শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২০
পাবনা বেড়ার পদ্মা-যমুনা ও হুরাসাগর নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে উপজেলার কৃষক, জেলে ও শ্রমিকদের মাঝে শুরু হয়েছে দোয়ার দিয়ে মাছ ধরার ব্যস্ততা। তাইতো বেড়ায় জমে ওঠেছে দোয়ার কেনাবেচার হাট। পাবনার বেড়া উপজেলা মাছ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এ উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় মোট ৮টি নদীসহ বেশ কয়েকটি বিল। বর্ষা এলেই উপজেলার দোয়ার দিয়ে মাছ ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবাই। তাইতো বেড়া বাজার ও চতুর হাটে মাছ ধরার জন্য তৈরি উপকরণ দোয়ার, চাড়ো, পলো ইত্যাদি বিক্রির ধুম পড়ে। ফলে এ সকল তৈরিতে ব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা। সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার উপজেলার বেড়া বাজারে বসে দোয়ারে হাট। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার ভ্যানবোঝাই করে হাটে বিক্রির জন্য দোয়ার নিয়ে আসে বিক্রেতারা। দূরদূরান্ত থেকে মৎস্য শিকারীরা দোয়ার কিনতে আসে এখানে। জিনিসের মান বুঝে সেগুলো সাড়ে ৫০০ শত থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা বিক্রি হয়। সরেজমিনে গত শনিবার (১৩ জুন) দোয়ার হাট ঘুরে দেখা যায়, বেড়া, সাঁথিয়া ও ফরিদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দোয়ার বিক্রেতারা তাদের তৈরি দোয়ার, চাড়ো, পলো বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছে এ হাটে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গার জেলে ও পাইকাররা ক্রয় করছে। জানা যায়, দোয়ার তৈরির সাথে জড়িয়ে রয়েছে কয়েক শ পরিবারের জীবন-জীবিকা। দোয়ার হাটে বিক্রি করতে আসা সাঁথিয়া উপজেলার বেওবাড়িয়া আটিয়া পাড়া গ্রামের আজিজুল মোল্লা বলেন, প্রতিটি দোয়ার বানাতি (তৈরিতে) যা খরচ হয় তা বিক্রি করলে ভালোই লাভ হয়। একজন কারিগর সারা দিনে দুই থেকে তিনটি দোয়ার বানাবের পারে। গেল বছরের চেয়ে এ বছর আগেই বেচাকেনা হচ্ছে দামও একটু বেশি পাচ্ছি। দোয়ার হাটে ক্রয় করতে আসা সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি উপজেলার শৈলজানান চরের আমির মিয়া বলেন, দোয়ার পাতলে চিংড়ি, বোয়াল, আইর, বাইম, বাইল্যে টেংড়াসহ বিভিন্ন রকমের দেশি মাছ ধরা পরে। পরিশ্রমও কম। একবার দোয়ার পেতে প্রতিদিন সকালে দেখতে হয় মাছ পরেছে কি না। তা ছাড়া বাজারে দোয়ারে ধরা মাছের চাহিদাও থাকে বেশি। আষাঢ় মাস থেকেই এগুলো বিক্রি হয় পুরো তিন মাস।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়