শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২০
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া বেড়া উপজেলার শতাধিক স্বর্ণশিল্পী মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব স্বর্ণশিল্পী যাদের স্থানীয়ভাবে কারিগর বলা হয়।
বিগত মাসাধিক সময় ধরে এদের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। এরা বেতন ভূক্ত নয়। কাজ করলে মজুরি পায়। এখন সোনা বা রুপার সকল কাজই বন্ধ। কোন কাজ না করতে পারায় পুঁজি যতটুকু ছিলো ভেঙ্গে খেয়েছে। নিজেদের এই দুরবস্থার এই কারিগররা কাউকে বলতেও পারছে না। এরা কোনদিনও কারো কাছে হাত পাতেনি। তাই হাতও পাততে তারা জানে না।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা সরকারের ত্রাণ বিতরণ করছেন, তাড়াও এদের কোন খোঁজ-খবর নেয়নি। এই অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়া উপজেলার শতাধিক স্বর্ণের কারিগর অর্ধাহারে- অনাহারে দিনাপাত করছে।
বেড়া বাজারের স্বর্ণশিল্পীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারিগররা মূলতঃ জুয়েলারী ও বড় দোকানের অর্ডারের কাজগুলো করে দেয়। এদের কেউ গড়িত, কেউ সিলা, নকশা, সেটিংসহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকে। কারিগরদের পাশাপাশি ছোট ছোট দোকানদারও এসব কাজের সাথে জড়িত।
এমনিতেই দফায় দফায় সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকমাস যাবত এসব কারিগরদের দুর্দিন চলছিল। এই সময়েই তারা পুঁজি ভেঙ্গে খেতে খেতে সর্বশান্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে পড়ে জুয়েলারীসহ সোনার কাজের সকল দোকানপাঠ মাসাধিক সময় ধরে বন্ধ থাকায় এদের অবস্থা এখন চরম সংকটাপন্ন।
বেড়া বাজারে স্বর্ণশিল্পী বিশু কর্মকার জানান, ঈদের আগের দুই-তিনমাস স্বর্ণশিল্পীদের কাজ বেড়ে যায়। এই সময়েই গহনা তৈরীর সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকায় তাঁদের দম ফেলার সময় থাকে না। এই সময়ে তারা কাজ করে বেশ কিছু টাকা জমাতে পারে। যা অন্য সময়ে কাজে লাগে।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়েই কর্মহীন হয়ে রয়েছেন স্বর্ণশিল্পীরা।
এ বিষয়ে স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গৌর কর্মকার জানান, স্বর্ণের কারিগররা কোনদিন কারো কাছে হাত পাতেনি। এরা হাত পাততেও জানে না। তিনি বলেন, শুনছি সরকার বিভিন্ন এলাকায় সাহায্য সহযোগিতা করছে। কিন্তু কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের লোক তাঁদের ত্রাণ বিতরণ তো দূরের কথা খোঁজখবরও নেয়নি।
স/সা
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়