শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৩
বিজ্ঞানভিত্তিক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রসারের লক্ষ্যে ২০০৮ সালের ৫ জুন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি (পাবিপ্রবি) গড়ে ওঠে।
এটি রাজশাহী বিভাগের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩য় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১টি বিভাগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন লালনের মহীরুহ বৃক্ষ হয়ে ওঠা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৫ জুন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরছেন মোজাহিদ হোসেন-
জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভান্ডার হোক বিশ্ববিদ্যালয়। আর তার জন্য শিক্ষার্থীদের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও পছন্দের জায়গা হোক বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি। তাই স্বপ্ন দেখি বিশ্বমানের লাইব্রেরির যার হাজারো বইয়ের মধ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থী খুঁজে পাবে নিজেকে, আবিষ্কার করবে নতুনকে, পথ দেখাবে জাতিকে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি ধারায় যুগপৎ সারথি হবে এক একটি শিক্ষার্থী। লাইব্রেরির প্রতিটি বই থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে থাকবে বিশ্বের সব ধরনের বই। প্রযুক্তির এই যুগে বিশ্বের সব বই যেন হয় শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত সফট কপি কিংবা হার্ড কপি।
এইচএম হৃদয় আলম উলস্নাস, স্থাপত্য বিভাগ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে সবসময় চাই যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা এবং গবেষণায় উন্নতি করুক এবং সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাক। গবেষণার বিষয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অবদান দৃশ্যমান। যা আমাদের সব শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করছে। অবশেষে বলতে চাই সব শিক্ষার্থী যেন সুন্দর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে দেশের স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় তার গৌরব দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পড়ুক। শুভ জন্মদিন প্রাণের পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মো. নাঈমুল হাসান, রসায়ন বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার প্রথম প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয় হবে মানসিকতা উন্নয়নের সূতিকাগার। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর মানসিকতা হবে বিশ্বমানের। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আপনাকে একটি ভালো মানের সার্টিফিকেট দিয়ে বের করে দিয়ে অমানুষ ঘুষখোর অফিসার তৈরি করে? সে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মূল্য আমার ব্যক্তি মানবের কাছে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী হবে প্রকৃত সোনার বাংলার সোনার ছেলে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় হবে স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম সোপান। আমার প্রত্যাশা সেশনজট মুক্ত নৈতিক বিশ্ববিদ্যালয়।
মীর মো. শাহিন আলম স্বাধীন, বাংলা বিভাগ
পুন্ড্রবর্ধন ভূমি হতে পতিত-পাবনী গঙ্গার পূর্বগামী ধারাত্রয় বিধৌত পাবনায়, জ্ঞানপিপাসুদের চারণভূমির মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে 'পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।' জ্যৈষ্ঠের ভোরে, জোড় বাংলোর আধিপত্য ও তাড়াষ ভবনের বঙ্গীয় রেনেসাঁয়, শিশির সংবেশিত কুয়াশায় সিক্ত হয় আমাদের প্রাণের এই ৩০ একরের কাম্প্যাস।- বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এই আগমনী মুহূর্তে এই কথাগুলোই যেন চুপিচুপি বলছেন রায়বাহাদুর জমিদার বনমালী রায়। মুক্তমঞ্চে কবিতার ছন্দ, আনন্দ সরোবরে গানের সুর, মুক্তাঙ্গনের নাট্যঅভিনয় মুখরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অঙ্গন। সবার আনন্দের মধ্যে তাই আমরা এবারে বরণ করে নিচ্ছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।
কুমারী সঞ্চিতা রানী, ইতিহাস বিভাগ।
পাবিপ্রবি শুধু আমার কাছেই নয় আমার মনে হয় এখানে পড়াশোনা করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে একটা ভালোবাসা ও আবেগের জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়টির আয়তন ছোট হওয়ার কারণে এখানকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছে আলাদা এক মেলবন্ধন। যা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে বন্ধুসুলভ আচরণ সৃষ্টিতে সাহায্য করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধার স্বল্পতা থাকলেও এখানকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কাজেও এগিয়ে যাচ্ছে। পাবিপ্রবি দেশের একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক এই প্রত্যাশাই করি।
সুবর্ণা রায়, পরিসংখ্যান বিভাগ
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়