বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৮ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে বিডিআর বিদ্রোহের মতো ন্যক্কারজনক ও হৃদয়বিদারক ঘটনায় উসকানি ও ইন্ধন দেয় বিএনপি। যদিও এ অভিযোগকে অস্বীকার করে দলটির হাইকমান্ড। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতেই বিএনপি-জামায়াত চক্র তা অস্বীকার করে আসছে এবং তাদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে মিথ্যাচার করেছে। যা তাদের স্খলনজনিত রাজনৈতিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
বিডিআর বিদ্রোহে বিভিন্ন মহলকে দায়ী করা হলেও তৎকালীন বিএনপি নেতা নাসিরুদ্দিন পিন্টু, হাজারীবাগের বিএনপি দলীয় কাউন্সিলর নাজনীন ও বিএনপির হাইকমান্ডের সরাসরি যোগসাজশ পাওয়া যায়। ২০০৯ সালে নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দেশে অসন্তোষ ও গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতেই বিএনপি বিডিআর বিদ্রোহে উসকানি ও মদদ দিয়েছিল বলেও মত বিশ্লেষকদের।
শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে বিডিআর বিদ্রোহের মতো ন্যক্কারজনক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে এখনও মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে বিএনপি চক্র। বিডিআর বিদ্রোহে বিএনপির ষড়যন্ত্র প্রকাশিত হলে কৌশলে এই ষড়যন্ত্রের দায় ক্ষমতাসীন দলের ঘাড়ে চাপাতে মিথ্যাচার শুরু করে বিএনপি। এমনকি বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সবাই যখন উৎকণ্ঠিত, তখন বিএনপি নেতারা ভারত ও ইসরাইলকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। সাকা চৌধুরী, জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদ প্রকাশ্যে ভারতকে দায়ী করে বক্তব্য দেন। বিএনপি নেতা নাসিরুদ্দিন পিন্টুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও হাজারীবাগের বিএনপি দলীয় কাউন্সিলর নাজনীন নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় স্লোগান দিয়ে বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে মিছিল করেছিলেন- যা প্রমাণিত সত্য।
পরবর্তীতে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বানোয়াট তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেশবাসীকে ধোঁকা দিতে থাকে বিএনপি। শুধু তাই নয় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আসামিদের পক্ষে যারা আইনি লড়াই করেছেন তারা সকলেই বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশগ্রহণকারী আইনজীবীদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার রফিকুল হক, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও মো. জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বিএনপি’র নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতা। সুতরাং কাদের স্বার্থ রক্ষা করতে বিএনপি ও জামায়াত তৎকালীন সময়ে একজোট হয়ে কাজ করেছে সেটি দেশবাসী জানতে পেরেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে অভিযুক্ত খুনিদের পক্ষাবলম্বন করা কি স্বাভাবিক কোনো বিষয়? রাজনৈতিক স্বার্থ না থাকলে কি কেউ এমন বিধ্বংসী পদক্ষেপ নিতে পারে?
এ পর্যন্ত গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন অনুসন্ধানী তথ্যের বরাতে জানা গেছে, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জড়িত ছিলেন। এর প্রাথমিক সত্যতা মিলে, যখন ঘটনার দিন খালেদা জিয়ার তার সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন। অন্যদিকে বিডিআর বিদ্রোহের দিন তারেক রহমান লন্ডন থেকে অর্ধশতাধিক বার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টেলিফোন করে ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ খবর জানতে চান। যা সত্যিই সন্দেহজনক।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তর পিলখানায় একটি বিশেষ চক্রের ইন্ধনে সৈনিকরা বিভিন্ন দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। এতে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়