বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে বিশ্বের উন্নত দেশের সমান। এদেশের মানুষের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্য থাকবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বে প্রথম বিশটি উন্নত দেশের একটি। এটা আমাদের স্বপ্ন এবং এটা আমরা বাস্তবায়ন করবো।’
বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে একটি বিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। তিনি পরিকল্পিতভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে এদেশের কতিপয় মানুষ জাতির পিতাকে তিন বছরের মাথায় পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এই তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যে কাজ করে গেছেন, পৃথিবীর ইতিহাস গবেষণা করেও এ ধরনের ঘটনা পাওয়া যাবে না। কোন সালে কি হবে, কখন আমরা কি করবো, কিভাবে পরিকল্পনা সাজাবো, সবকিছু নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন তিনি।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। তবে তিনি আমাদের জন্য সবকিছু গুছিয়ে রেখে গেছেন। আমাদের জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, কোন পথে গেলে আমাদের এগোনো সহজ হবে। তিনি আমাদের জন্য সেভাবেই অর্থনীতিতে সফলতার পরিকল্পনা তৈরি করে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন বিশ্বের অর্থনীতিতে ৩০তম। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকংকে ছাড়িয়ে তাদের উপরে চলে যাবো। অর্থনীতিতে গত ১০ বছরের আমাদের যে অর্জন সামগ্রিকভাবে সারাবিশ্বে সকল বিষয়ের উপরে। আমাদের মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধিতে চীন ও ভারত ছাড়া উপরে আর কেউ নেই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘যে দেশে শিক্ষা নেই সে দেশে আলো নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে শিক্ষার আলো জ্বালাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেক বড় একটি অনুদান দিয়েছেন। যা দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে সাজানো যাবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান ও অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব ফরিদ আজিজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোজাম্মেল হক এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ ফয়সাল বিন করিম প্রমুখ।
এসময় অর্থমন্ত্রী পথশিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন। এছাড়া কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে গুণীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এর আগে বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এরপর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়