মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৬ ১৪৩১ ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৪
দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ ছাড়া জ্বালানি, জনশক্তি, বাণিজ্য বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এদিকে গতকাল ওই সফরের প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে চুক্তি সম্পাদনে দুই দেশ সম্মত হয়েছে এবং চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। চুক্তিটি হলে ভারত ও থাইল্যান্ডের পর কাতার থেকেও বন্দিবিনিময় করতে পারবে বাংলাদেশ। ভারত ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি থাকায় কয়েকজন বন্দিবিনিময় করা সম্ভব হয়েছে।
বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে পলাতক পুলিশ ইন্সপেক্টর হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানকে দেশে ফেরত আনা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে সরকার মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তির চেষ্টা করছে। পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কাতারের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি সম্পাদিত হতে যাচ্ছে। সব কিছু চূড়ান্ত। এবারের কাতারের আমিরের সফরেই এটি সম্পাদিত হবে।
সূত্রমতে, কাতারে বর্তমানে শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত হয়ে সেখানকার জেলখানায় আছেন। তাদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত, এক বছর কিংবা ছয় মাস সাজাপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, চুক্তি হলে সেখানে বন্দি বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা যাবে।
চূড়ান্ত হওয়া চুক্তির খসড়া অনুয়ায়ী, দীর্ঘ মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে বাকি দণ্ড ভোগ করতে পারবেন। এ জন্য সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশির পরিবারকে আবেদন করতে হবে। এর পর আবেদন অনুযায়ী কাতারের জেলে বন্দি বাংলাদেশিকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক কিনা জিজ্ঞেস করা হবে। এর পর দেশে ফেরত আনা হবে। আর দেশে নিয়ে আসার সব খরচ পরিবার বহন করবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের কারাগারে বর্তমানে বাংলাদেশের ৯ হাজার ৩৭০ শ্রমিক-প্রবাসী আটক রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আটক রয়েছেন সৌদি আরবে; ৫ হাজার ৭৪৬ জন। এ ছাড়া পর্তুগালে ১ জন, মিশরে ৬ জন, ইতালিতে ৮১, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫, কোরিয়ায় ৬, শ্রীলংকায় ৩, কাতারে ৪১৫, লিবিয়ায় ৯, স্পেনে ১৯, হংকংয়ে ১২২, সিঙ্গাপুরে ৬৬, ব্রুনাইয়ে ১৬, চীনের বেইজিংয়ে ১৮৪, চীনের কুনমিংয়ে ৭ জন, আবুধাবিতে ৪০৪, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৯, মালয়েশিয়ায় ২১৯, আলজেরিয়ায় ১, থাইল্যান্ডে ৪, লেবাননে ২৮, গ্রিসে ৪১৪, ইরাকে ২১৭, তুর্কিতে ৫০৮, মিয়ানমারে ৩৫৮, জাপানে ২ জন ও জর্ডানে ১০০ জন আটক রয়েছেন। এ ছাড়া গত বছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট ১২২৬ জন আটক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে, ৫১ বাংলাদেশিকে ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের জেলখানা থেকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারত, মিয়ানমার এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের জেলখানা থেকে আরও প্রায় ১৯৫০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়