শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৭ মে ২০২০
পুলিশের অধীনে থাকা পতিত জমি ও জলাশয়কে আবাদযোগ্য করার উদ্যোগ নিয়েছে পাবনা পুলিশ। করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় পাবনায় পুলিশের নিজস্ব প্রায় ৩০ বিঘা পতিত জমি ও জলাশয়কে আবাদযোগ্য করা হচ্ছে। নিয়মিত ডিউটির পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কৃষি শ্রমিকের কাজ স্বেচ্ছায় করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান বলেন, করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বাড়াতে হবে খাদ্য উৎপাদন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাগিদ দিয়েছেন দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিকে উৎপাদনের আওতায় আনার। সে নির্দেশনা মেনে নিজেদের অধীনে থাকা পতিত জমি খাদ্য উৎপাদনের উপযোগী করতে মাঠে নেমেছে পাবনা জেলা পুলিশ।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও এর আশেপাশের ৬ বিঘা খালি জমির ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে শাক সবজি বোনার প্রস্তুতি চলছে। পরিত্যক্ত জলাশয়গুলোও সংস্কার করে ছাড়া হয়েছে মাছের পোনা।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘দেশটা কৃষকের, কাজটা সকলের’ এই শ্লোগানে কাজ চলছে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ই ছাড়াও জেলার ১০ থানা, সকল ফাঁড়ি ও অভিযোগ কেন্দ্রের পাশের খালি জমিকে আবাদযোগ্য করে ফসল রোপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ির আশেপাশের পতিত জমি কাজে লাগাতে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম বলেন, পাবনায় কেবল জেলা পুলিশের অধীনেই রয়েছে প্রায় ৩০ বিঘা পতিত জমি ও জলাশয়। জেলার সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে হিসেবটা কয়েকশ বিঘা ছাড়াবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের খালি জমিকে কৃষি আবাদের আওতায় আনা হলে উৎপাদিত ফসল খাদ্য নিরপত্তায় বড় ভূমিকা রাখবে। নিশ্চিত হবে অব্যবহৃত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার। পাবনা জেলা পুলিশের এই মডেল সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে করোনা পরবর্তি খাদ্য সংকেটর ঝুঁকি মোকাবেলা সম্ভব হবে।
এসব জমিতে উৎপাদিত খাদ্য পুলিশ সদস্যদের চাহিদা মিটিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়