বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১০ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২১
পাবনার বেড়ায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ব্যাপক নির্যাতন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। পৌরসভা ভোটে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন শিশুটির পরিবার।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা না নেয়ায় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন কোর্ট বন্ধ থাকায় বিচার না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শিশুর মা স্কুল শিক্ষিকা মোখলেসা শারমিন্দ দিবা।
গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টার দিকে পাবনার বেড়া পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়দহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার বেড়া পৌরসভার জোড়াদহ এলাকার মোখলেসা শারমিন্দ দিবার ছেলে শিশু মোস্তফা তাহমিদ (১০)। শিশু তাহমিদ দারুল আরকাম মাদ্রাসার ছাত্র।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শিশু তাহমিদের মা মোখলেসা শারমিন্দ দিবা এবার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে মহিলা কাউন্সিরর প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। অন্যদিকে নির্যাতনকারী আলামিন কবির জয় ও সুস্মিতা কবির ঐশির মা আইরিন পারভীন মুন্নী একই পদে নির্বাচন করে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর শিশু তাহমিদকে রাস্তা থেকে তুলে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
শিশু তাহমিদের চিৎকারে এলাকার লোকজন জানতে পেরে উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন শিশু তাহমিদকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আইরিন পারভীন মুন্নী জানান, আমার বাসায় একটা পাগলি থাকে। তাকে ডিল মারার কারণে আমার ছেলে জয় তাহমিদকে তাড়া করে। এ সময় সে আহত হয়। পরে বাড়িতে ধরে এনে সেভলন লাগানোর জন্য। কিন্তু শিশুটি পালিয়ে যায়। শিশুর পরিবার আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে তা মিথ্যা।
এ ব্যাপারে শিশুর মা মোখলেসা শারমিন্দ দিবা বলেন, আমার সন্তান হেফজ খানায় লেখাপড়া করে। আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছিল। ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। শরীরের অনেক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। আমার সন্তান বর্তমানে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়টি জানি। আমার সার্কেল স্যারও বিষয়টি জানেন। আমরা বসে এর একটা সমাধানের কথা বলেছিলাম, সেটা হয়নি। এজাহারে ক্রুটি থাকায় মামলাও নেয়া হয়নি।’
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়