বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
‘কথিত’ আরিফ বাহিনী নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে প্রকাশিত খবরকে সত্যের অপলাপ এবং একটি সত্য ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা বলে মনে করেন। তারা প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের দাবী করেছেন।
তাছাড়া বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে অনুসন্ধানে রেবিয়ে এসেছে। ফাস্ট ফিলিংস নামের সিরাপ টি বিএসটিআই অনুমোদিত পানিয়। এই সিরাপ পান করে নওগা জেলায় যে খবরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার সঙ্গে ফাস্ট ফিলিংস সিরাপের কোন সম্পর্ক নেই। যা সম্পূর্ন মিথ্যে।
তাছাড়া মালিগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফ এবং আরিফ সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার বাবা এবং চাচা ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাদের পরিবারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিগত নির্বাচনে পরাজিত একটি মহল এই পরিবারকে হেয় করতে এবং রাজনৈতিকভাবে খাটো করতে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে এ ধরণের অসত্য খবর প্রকাশ করেছেন।
সূত্র জানায়, একটি ধর্ষণ মামলা তদন্ত করার সময় আব্দুল আলীম নামের এক যুবক মারধরের শিকার হন। মাদক ও হত্যা মামলার আসামী আব্দুল আলীম ধর্ষিতার কোন আত্বীয় স্বজন বা কেউ না, ধর্ষিতার পরিবার এর সাথে বা প্রতিবেশী হিসেবে ধর্ষণ মামলায় সহযোগি বলে দাবিদার আহত আব্দুল আলীমের কোন প্রকার যোগসুত্রও নেই! এমনকি কথিত ধর্ষণ মামলার তালিকা ভুক্ত কোন স্বাক্ষী ও নন তিনি। মালিগাছা ইউনিয়নের রুমী খাতুনের সঙ্গে জনৈক ফিরোজের সাথে চার বছর ধরে প্রেমের সর্ম্পক। অবিবাহিত ফিরোজের সঙ্গে রুমী খাতুনের সম্পর্ক নিয়ে যত কান্ড।
মালিগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরীফ জানান, ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে দুজনার উভয় পরিবারের সম্মতি ও উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মেয়ের পরিবারের অজ্ঞতা কে পুজি করে মিথ্যা মামলা দিলেও পরে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। আদালতে হলফনামা দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেন।
পাবনা সদর থানার নুরপুর পাঁচ পুকুড় এলাকার দরিদ্র পরিবারের ছেলে আব্দুল আলীম। তিনি মৃত আয়নুল ডাক্তারের ছেলে। পৈলানপুর টেম্পুস্ট্যান্ড মোড়ে এক যুবক হত্যা মামলার আসামী। অপরদিকে আব্দুল আলীমের স্ত্রী রুমা খাতুনের দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী মালিগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরীফ এর ছোট ভাই আরিফ (৩৮) এর স্ত্রী আজমিরা খাতুন বলেন, তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আজমিরা বলেন, ঘটনার সময় আমার স্বামী ঢাকায় ছিলেন। আমাদের কাছে গাড়ির টোল প্লাজা রশিদ এমনকি বাণিজ্য মেলায় গিয়েছি, এমনকি যে বাড়িতে আমরা ছিলাম সে বাড়ির সিসি টিভি ফুটেজ ও রয়েছে। তাহলে কি করে কেন কার স্বার্থে আমার স্বামীকে প্রধান আসামী করা হলো। আজমিরা তার স্বামী আরিফ এর জন্য প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।
স/এমএমআই
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়