বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০
পাবনার ঈশ্বরদীতে করোনা আক্রান্ত ছেলের সাথে গোপনে মেয়ে দিয়ে বিপাকে পড়েছে একটি পরিবার। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা দিয়ে আসার পর কেবল বিয়েই নয়, কয়েক দফা আনুষ্ঠানিকতায়ও অংশ নিয়েছে উভয় পরিবার।
গতকাল শুক্রবার রাসেলের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর ভেড়ামারায় তার বাড়ি লক ডাউন করতে গিয়ে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ এসব তথ্য জানতে পারে। কুষ্টিয়া পুলিশের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে পেরে শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ওই বাড়িটি লকডাউন করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী শহরের ফকিরের বটতলা এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আশরাফ হোসেন চুনি ঈদুল ফিতরের আগের দিন অতি গোপনে তার মেয়ে শর্মিকে বিয়ে দেন পাশ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারার ষোলদাগ গ্রামের রাসেল (৩০) নামে এক যুবকের সাথে।
আশরাফ হোসেনের প্রতিবেশী সোহান আহমেদ জানান, বিয়ের পাত্র রাসেল ঢাকায় ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঈদের আগে ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়ে সে করোনা উপসর্গ নিয়েই গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আসে।
বিষয়টি গোপন করে ঈদের আগের দিন গত রবিবার (২৪ মে) তিনি পরিবারের লোকজন নিয়ে ঈশ্বরদী থেকে শর্মীকে বিয়ে করে নিয়ে যান।
ঈশ্বরদী বাজারের ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, ওই যুবক বিয়ের পর নতুন বউকে তার ভেড়ামারার বাড়িতে নিয়ে ৪ দিন অবস্থান করেন। ঈশ্বরদী থেকে মেয়ের বাড়িতেও বেড়াতে যান শর্মির পরিবারের লোকজন।
গতকাল শুক্রবার সদ্য বিয়ে করা ওই যুবক রাসেলের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ শহরের ওই বাড়িটি লকডাউন করে এবং বাড়ি থেকে কাউকে বাহিরে বের না হতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর জানান, ঈদের আগে গোপনে বিয়ের ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
তবে, ঈদের ছুটিতে বর কনে উভয় পরিবারের লোকজন একে ওপরের বাড়িতে যাতায়াতের কথা স্বীকার করেছেন। ঈশ্বরদীতে কনের বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। শনিবার সকালে স্বাস্থ্যবিভাগ বাড়ির সকলের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেছে বলেও জানান তিনি।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়