শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২০
পাবনার চাটমোহরে কল্পনা রানী পাল (৩৮) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার পর চা দোকানে গিয়ে ব্যবসা করেন স্বামী নিরঞ্জন পাল ওরফে নিরু। হাতে কাটা দাগ থাকায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে নিরঞ্জন। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২৬ বছর আগে একই উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের মনোরঞ্জন পালের মেয়ে কল্পনা রানীর সঙ্গে হরিপুর গ্রামের নিরঞ্জনের বিয়ে হয়। নিরঞ্জন একজন চা বিক্রেতা। দুই ছেলে দিনাজপুরের বসবাস করায় তারা স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে কল্পনা রানীকে বেধড়ক মারধর করতো নিরঞ্জন। বারে বারে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত। রোববার এই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক নিরঞ্জন জানায়, রাগের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপনে বাড়িতে যান নিরঞ্জন। এ সময় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। শোবার ঘরে ঢুকেই স্ত্রী কল্পনা রানীকে মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিছানায় ফেলে মুখ চেপে ধরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সে। পরে পুনরায় নিজের চা দোকানে গিয়ে দোকানদারি করতে থাকে। রাত পৌনে ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে স্থানীয়দের ডেকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কল্পনা রানীকে হত্যা করেছে বলে জানায় নিরঞ্জন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন, থানার ওসি আমিনুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন। তবে এ সময় উপস্থিত নিরঞ্জনের হাতে কাটা দাগ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, নিরঞ্জন পাল খুব বদমেজাজী টাইপের লোক। হাতে কাটা চিহ্ন দেখে তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে অকপটে স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের করেছেন। সোমবার নিরঞ্জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়