বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১০ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর আত্মগোপনে ঠিকাদার নয়ন। পাবনা গণপূর্ত বিভাগে অস্ত্রের মহড়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের সরকারি প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে।
সেমাবার পাবনায় গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ে ঢুকে বিভাগীয় উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের দীর্ঘ ২১ ঘন্টা পরে দায়েরকৃত এজাহারটি মামলা হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মেলায় মঙ্গলবার (৭ সেপ্টম্বর) বিকেলে মামলাটি নথিভুক্ত হয় বলে জানান পুলিশ।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় লাঞ্ছনার শিকার ভুক্তভোগী গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এজাহারে তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নূর কনস্ট্রাকশনের মালিক মোঃ মোখলেসুর রহমান নয়নের (৪৫) বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদানদানসহ তাকে গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন। ঠিকাদার নয়ন পৌর এলাকার চকছাতিয়ানী মহল্লার মৃত হারুনূর রশিদের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে প্রকৌশলী আবদুস সাত্তারের দাবি, ঠিকাদার মোখলেসুর রহমান সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে গণপূর্ত কার্যালয়ে হাজির হন। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ে না থাকায় তিনি প্রকৌশলী আবদুস সাত্তারের কক্ষে প্রবেশ করেন। দু’জনের কথার একপর্যায়ে আবদুস সাত্তার ঠিকাদার মোখলেসুর রহমানকে তার বিভিন্ন অসাপ্ত কাজের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। কাজটি নির্ধারিত সময়ে শেষ করার কথা বলায় ঠিকাদার মোখলেসুর রহমান নয়ন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। ঘটনাটি তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করে সন্ধায় পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রকৌশলীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এজাহারটি মামলা হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে এস আই ডেভিট হেমাদ্রি বর্মাকে। অভিযুক্ত ঠিকাদারকে ধরতেও ইতোমধ্যে অভিযান চলছে। ঘটনার পর থেকে ঠিকাদার নয়ন আত্মগোপনে চলে গেছেন। অতি দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এই ঘটনায় বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজিম উদ্দীন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেহেতু ওই ঠিকাদার গণপূর্ত বিভাগে কাজ করেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা বা তার কাজের লাইসেন্স বাতিল করা হবে কিনা সেটির সিদ্ধান্ত এখনো অসেনি। তবে সরকারে কাজে বাধাপ্রদান ও সরকারি কর্মকর্তাকে অফিসে ঢুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা দুঃখজনক।
তবে, এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার নয়নের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর ঠিকাদার নয়নের বাড়ি ও অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়