শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২০
মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা। আর এ রাস্তাটি পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের শহরের সঙ্গে সংযোগের এবং চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।
কিন্তু এখন তা চলাচলের এতই বেহাল যে, দূর থেকে তাকালে রাস্তা যেন নয়, মনে হবে একটি মরা নদী। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী এ রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানালেও তা পূরণ হয়নি। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীরা হাতে হাত ধরে মানববন্ধনও করেছে মেরামতের দাবিতে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া চাঁদু সরদারের বাড়ি হতে আকবর মৃধার বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তাটি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে।
মাটির রাস্তা হলেও ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০ গ্রামের মানুষের শহরের সঙ্গে সংযোগের এবং চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু অন্তত এক যুগেও এ রাস্তাটির সংস্কার বা মেরামত না হওয়ায় বড় বড় খানাখন্দ ও গর্তে পরিণত হয়েছে রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি। দূর থেকে তাকালে মনে হয় রাস্তা নয়, যেন একটি মরা নদী।
স্থানীয় সমাজসেবক সুনাই খাঁ, মান্নাত সরদার ও আলতাফ হোসেন জানান, ব্যস্ততম এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে মাদ্রাসায় যায়। কৃষক তার পণ্য নিয়ে হাটবাজারে যান। কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষকে প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
পাকা রাস্তা না থাকায় জনবসতির শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত এই মাটির রাস্তায় এসব মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু মেরামতের অভাবে তাও এখন চলাচল অযোগ্য। কোনো যানবাহন নিয়ে তো দূরের কথা, হেঁটেও এখন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর।
সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আমিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। আমরা সরকারের বিভিন্ন দফতরে বহুবার আবেদন পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।
এদিকে রাস্তাটি অতিদ্রুত মেরামতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ। গত সোমবার বেহাল রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তারা মানববন্ধন করেন।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, এসব রাস্তা ইউনিয়ন পরিষদ কাবিখার মাধ্যমে মেরামত বা সংস্কার করে থাকে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে এ খাতে বরাদ্দ হয় খুবই কম। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যানরা এলাকার গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে মেরামত করে থাকেন।
তাছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য বিশেষ বরাদ্দ নিয়েও এসব কাজ করতে পারেন। তারপরও আগামী শুষ্ক মৌসুমে আমরা চেষ্টা করব বরাদ্দ এনে রাস্তাটি মেরামত করার।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়