মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৬ ১৪৩১ ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৪
পাবনা আইডিয়াল হাসপাতাল নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক ঘন্টার ব্যবধানে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন, ইনজেকশসহ ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পৃথক পৃথক ডাক্তারের সিজারিয়ান অপারেশনে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে খবর পেয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শণ করে হাসপাতালটি সীলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে। অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। পুলিশ বলছে, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সিজারিয়ান অপারেশনে মারা যাওয়া দুই প্রসূতি হলেন; পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার খিদিরপুরের স্বপ্না খাতুন ও কুষ্টিয়ার শিলাইদহ গ্রামের মাহবুব বিশ্বাসের স্ত্রী ইনসানা খাতুন। নিহতদের পরিবারের লোকজন ঘটনার আগের দিন প্রসব বেদনা উঠলে তাদের এই হাসপাতালে ভর্তি করান।
জানা যায়, ডাক্তার জাহিদা জহুরা লীজা ইনসানা খাতুনের সিজারিয়ান অপারেশন করেন। তার ভুল চিকিৎসায় এমন মৃত্যু হয়েছে বলে নিহত লীজার আত্মীয় স্বজনদের অভিযোগ। অন্যদিকে ডাক্তার কাজী নাহিদা আক্তার লিপি একই হাসপাতালে স্বপ্না খাতুনের সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এ পরিবারও ডাক্তারের ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যু অভিযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র দাবী করছে, চিকিৎসার সময়ে সিজারিয়ান রোগীকে যে স্যালাইন ও ইনজেকশন পুশ করা হয় সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এছাড়াও সিজারিয়ান অপারেশনের সময়ে নারী কাটাসহ কিছু ভুল চিকিৎসা দেয়ায় প্রসুতি দুই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রটি দাবী করছে, উভয় চিকিৎসক অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ইতোপূর্বেও এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগীকে ভুল চিকিৎসা দেয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। বারবারই এই হাসপাতালগুলো এ ধরণের মানুষ মারার মতো কাজ করলেও অজ্ঞাত কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপসহ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবী তাদের।
পাবনা আইডিয়াল হাসপাতালের পার্টনার আব্দুল্লাহ আরিফ বলেন, আমরা সব সময় রোগীকে ভালো চিকিৎসা ও ভালো ওষুধ দিয়ে থাকি। অভিযোগগুলো সঠিক নয়। স্বাস্থ্য দপ্তর এসেছিলেন। তারা তদন্ত করেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তাদের তদন্তেই বেড়িয়ে আসবে প্রকৃত ঘটনা কি।
পাবনার সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, ঘটনাটি জানার পর ওই হাসপাতাল পরিদর্শণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে হাসপাতালটি সীলগালা করে দেয়া হয়েছে। ঘটনা অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। খবুই দুঃখজনক। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়