শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
পাবনার কাজিরহাট ফেরিঘাটে পন্টুন ভেঙে যাওয়ায় নতুন পন্টুন স্থাপনের কাজ চলছে। এতে দুপুর থেকে যানবাহন পারাপার বন্ধ রয়েছে। ফলে এই নৌপথের দুদিকে আটকে আছে ৪ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। ৩ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
এদিকে বিকল্প কোনো পন্টুন না থাকায় ঘাটে ভিড়তে না পেরে আরিচা থেকে যানবাহন নিয়ে আসা একটি ফেরি নদীতে নোঙর করে আছে। এর ফলে এই ফেরিঘাটে পারাপারের জন্য আসা যানবাহনের শ্রমিক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আরিচাঘাট থেকে নতুন পন্টুন নিয়ে আসা হয় এবং সেটি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। ভেঙে যাওয়া পুরাতন পন্টুন এখান থেকে মেরামত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আরিচাঘাটে।
কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আমাদের এখানে তিনটি ফেরি থাকলেও আরেকটি পন্টুন না আসা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর নতুন পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। আগের পন্টুনটি আরিচাঘাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ফেরি চলাচল বন্ধের কারণে দুর্ভোগে পড়া যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা অভিযোগ করেন, কাজিরহাট-আরিচা নৌপথে ছয় থেকে সাতটি ফেরির প্রয়োজন। কিন্তু চালু রয়েছে ছোট ছোট তিনটি ফেরি। যে তিনটি চালু রয়েছে সেগুলো একদিকে যেমন ছোট ও ধীরগতির, তেমনি ত্রুটিযুক্ত। ফলে কাজিরহাট ফেরিঘাটে যানবাহনের ভিড় লেগেই থাকে।
পর্যাপ্ত পন্টুন না থাকায় ফেরি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে ঘাটকর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, কাজির হাট ঘাটে কমপক্ষে ৩/৪টি পন্টুন স্থাপন করা দরকার। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার জানানো হলেও এখানে পন্টুন বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানান তারা। ঘাটে যানজট থাকলেও তাই কিছু করার নেই ঘাট কর্তৃপক্ষের।
কয়েকজন ট্রাকচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহাসড়কে চার-পাঁচ দিন ধরে এভাবে বসে থাকায় খাওয়ার কষ্টের সঙ্গে টয়লেটের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তারা বলেন, ঘাটে ট্রাক টার্মিনাল থাকলে মহাসড়ক যেমন যানজটমুক্ত থাকত তেমনি ট্রাক শ্রমিকদেরও থাকা, খাওয়া ও টয়লেট নিয়ে সমস্যা হতো না।
লালমনিরহাট থেকে আগত ট্রাকচালক জুয়েল রানা জানান, এত বড় একটি ফেরিঘাটে মাত্র একটি পন্টুন থাকায় মাঝেমধ্যেই ভেঙে যাওয়ার খবর শুনতে পাই। এতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এখানে কমপক্ষে ৩টি পন্টুন দরকার।
সড়ক বিভাগের পাবনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জোহা বলেন, কাজিরহাটের ট্রাক টার্মিনাল দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেছি। টার্মিনালটি দখলমুক্ত হলে ঘাট-সংলগ্ন মহাসড়ক যানজট মুক্ত হবে।
বিআইডব্লিউটিসির কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, আরিচা থেকে নতুন পন্টুন এনে বসানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘাটে যানবাহন চলাচল শুরু হবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়