শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
পাবনার সুজানগর উপজেলার আনাচে কানাচে সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। ওষুধের দোকান, মুদির দোকান, কাপড়ের দোকান, কীটনাশকের দোকান, খাবারের দোকান এমনকি পানের দোকানেও চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বেচাকেনা।
মার্কেটের ভেতরের চিপাগলি, বদ্ধ স্থান, উন্মুক্ত স্থান সব স্থানেই চলছে এলপি গ্যাসের অবাধ বেচাকেনা। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার, মূল্য তালিকা রাখার বিধান থাকলেও তা মানছেন না কোনো বিক্রেতাই এবং দামও রাখা হচ্ছে ইচ্ছামতো। আর এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির স্থানে কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে।
একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল এলপি গ্যাস বিক্রয় নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হন। লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না।
২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। কিন্তু এ আইন মানছেন না বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই।
সরেজমিন সুজানগর পৌর বাজারসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধের দোকান, পানের দোকান, মুদি দোকান, ফার্নিচারের দোকান, ফটোকপির দোকান, ফ্লেক্সিলোডের দোকানেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে বাধ্যতামূলক বিস্ফোরক লাইসেন্স, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ গ্যাস বিক্রি করতে পারবে না।
কিন্তু সুজানগর উপজেলায় মাত্র পাঁচজন ব্যবসায়ীর বিস্ফোরক লাইসেন্স রয়েছে। আর লাইসেন্স ছাড়া এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন উপজেলার দুই শতাধিক ব্যবসায়ী।
সুজানগর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মতিউর রহমান বলেন, বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবেন না।
সুজানগর উপজেলা গ্যাস ডিলার মালিক সমিতির নেতারা জানান, লাইসেন্সবিহীন এলপিজি গ্যাস বিক্রি বন্ধ করার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে রাজশাহী বিভাগের বিস্ফোরক পরিদর্শক বরাবর অভিযোগ দাখিল করার প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন, লাইসেন্স ছাড়া যেসব দোকানি অরক্ষিতভাবে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ও বিক্রি করছেন শিগগিরই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়