শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২২
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ৩৬ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া দুই হাজার ৬৫ জন প্রার্থীর প্রতিনিধিদের হাতে নিয়োগপত্র এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার কথা ছিল শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির। তবে তার স্বামী বিশিষ্ট আইনজীবী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ড. তৌফিক নেওয়াজ শনিবার রাতে করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) আইসোলেশনে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর স্বামীর করোনা শনাক্ত হওয়ার খবরে গতকাল রাত থেকে মন্ত্রী আইসোলেশনে আছেন। সে কারণে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সশরীরে অংশ নেবেন না, ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দুই হাজার ৬৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে সেখানে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাকি প্রার্থীদের মধ্যে চার হাজার ১৯৮ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভি রোল ফরম না পাঠানো, ৯ জনের প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হওয়া, তিনজনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্ত ভঙ্গ করে মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে আবেদন করাসহ বিভিন্ন কারণে মোট চার হাজার ২১০ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। যে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়নি, তাদের তালিকা এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
যে প্রার্থীরা ভি রোল ফরম পাঠাননি, তাদের আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএ অফিসে সরাসরি অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুই বছর আগে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সুপারিশ করা হয়। পরে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে দুই বছর সময়ক্ষেপণ করা হয়। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়