বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
দল-পরিবারের প্রতি অগাধ বিশ্বাস থেকে এতোদিন নিজের সব অপকর্মকে অস্বীকার করে আসছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় তিনি মনস্থির করেছেন সব দোষ হাসিমুখে স্বীকার করে নেবেন। চিকিৎসার জন্য চলে যাবেন লন্ডনে। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে আমতা আমতা করলেও অবশেষে সমঝোতা বা প্যারোলের ব্যাপারে পুরোপুরিভাবে সম্মত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কারণ তিনি বুঝে গেছেন, তার নেতৃত্বাধীন দলের নেতাকর্মীরা ও তারেক রহমান আন্তরিকভাবেই তার মুক্তিতে অনাগ্রহতা দেখিয়েছে। এমনকি বিএনপিপন্থী আইনজীবীরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়ে গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরছেন। কেউবা আবার পূর্ণ মনোযোগে নিজের আইন ব্যবসা সামলাচ্ছেন। এমতাবস্থায় পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার মুক্তির কথা উঠলেও সেখানে সৃষ্টি হয় বিভক্তি। খালেদার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি প্রাণপনে শাশুড়ির মুক্তি চাইলেও অন্যান্যদের থেকে মেলেনি সাড়া। এসব বিবেচনা করেই তিনি সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছেন, আগে নিজের জীবন-তারপর দল।
খালেদার পরিবারের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়া বেঁচে থাকলেই কেবল বিএনপির রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে। আর এ কথা তিনি দেরিতে হলেও বুঝেছেন, রাজি হয়েছেন লন্ডনে চিকিৎসার ব্যাপারে। এমনকি সমঝোতার ব্যাপারেও তিনি পুরোপুরি নমনীয় হয়েছেন।
বিষয়টির সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপি আশা করছে, যথাযথ চিকিৎসা এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন মিলবে। তবে তিনি প্যারোল নেবেন কি না, সে বিষয়টি পুরোপুরি খালেদা ও তার পরিবারের এখতিয়ার।
এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্যারোল নেবেন কি না, সেটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এটি তার পরিবার ও তিনি ভালো বলতে পারবেন।
বিএনপির হাইকমান্ড বলছে, ম্যাডামের জিয়ার বয়স হয়েছে। শারীরিকভাবেও তিনি অসুস্থ। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কারামুক্তি দরকার। এক্ষেত্রে তিনি প্যারোলে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা হয়তো যথার্থই নিয়েছেন। আপাতত উন্নত চিকিৎসা বৈ অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই তার।
দায়িত্বশীল আরেকটি সূত্র বলছে, দলীয় প্রধানের মনোভাবের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ফোনে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে কথা বলেন। এসময় ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য আদালতের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে দুই নেতার মধ্যে সেদিন যে কথোপকথন হয় তার মধ্যে ‘দোষ স্বীকার করে’ প্যারোলের বিষয়টি উল্লেখ আছে বলে জানা গেছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়