শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২১
পাবনা জেলার কাশিনাথপুরের বেঙ্গল মিটের প্রসেসিং কারখানায় থার্মোমিটার যন্ত্র দিয়ে মাংসখণ্ডের পরীক্ষা করছেন। তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। তারপর পুরোটা ভালো করে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখলেন।
অবশেষে অনুমতি দিলেন। মাংসখণ্ডটি চলে গেল কাটিং টেবিলে। করাত দিয়ে প্রথমে মাঝারি ও পরে চাপাতি দিয়ে ছোট ছোট পিস করছেন কয়েকজন শ্রমিক।
তারপর মোড়কজাত হয়ে হিমাগারের পথে দ্রুত চলে গেল। কারখানার অন্য পাশে যেতেই দেখা গেল, একের পর এক গরু জবাই হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা উঠে যাচ্ছে ছাদ বরাবর ইস্পাতের লাইনে। মেশিনে চামড়া ছড়িয়ে ভেতরের অন্যান্য অংশ বের করা হচ্ছে।
তারপর চর্বি ছড়িয়ে ঠান্ডা ও গরম পানিতে ধুয়ে সরাসরি চলে যাচ্ছে চিলারে (হিমঘরে)। সেখানে মাংসকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করতে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা রেখে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি থেকে কমিয়ে আনা হয় ৭ ডিগ্রির নিচে। প্রায় একইভাবে মুরগি ও ছাগলের মাংসও প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
গরু জবাইয়ের আগে টিবি, অ্যানথ্রাক্সসহ বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া মাংস প্রক্রিয়াকরণের সব পর্যায়ে তাপমাত্রা বজায় রাখা হয়।
জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার অন রেল ড্রেসিং প্রযুক্তিতে ২০০৬ সালে ১২ একর জায়গার ওপর কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এখানে ২৫০ জনের মতো কাজ করেন, যাঁদের অধিকাংশই স্থানীয়। প্রতিদিন গড়ে ৫০টি গরু এবং ৯০-১০০টি ছাগল জবাই করা হয়।
এ ছাড়া চার টনের মতো মুরগি প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। প্রক্রিয়াজাত হওয়া এসব মাংসের বড় অংশই যায় স্থানীয়ু বাজারে, বিশেষ করে পাঁচতারকা হোটেল। এ ছাড়া খুচরা বিক্রির জন্য বেঙ্গলের আছে ২৪টি বিক্রয়কেন্দ্র। তবে রপ্তানি বাজার মাথায় রেখেই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে বেঙ্গলের প্রক্রিয়াজাত করা গরুর মাংস দুবাই, কুয়েত, মালদ্বীপ ও বাহরাইনে রপ্তানি হয়। মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরাই এই মাংসের ক্রেতা।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়