বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২০
পাবনার সাঁথিয়ায় উচ্চপদস্ত শিক্ষা কর্মকর্তার বোন প্রধান শিক্ষিকা মাজেদা খাতুনের দাপট ও সে¦চ্ছাচারিতায় তটস্থ কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ।
তিনি উপজেলার কাশীনাথপুর ইউনিয়নের ৫০নং গোটেংরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। তার ভাই শেখ মোঃ রায়হান উদ্দিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক(বাজেট ও রাজস্ব)।
জানা গেছে, এলাকাবাসীর লিখিত নানা অভিযোেেগর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় উপপরিচালক,প্রাথমিক শিক্ষা রাজশাহী ১৮/৯/২০১৯ তারিখে মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা, ঢাকা বরাবর এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ১৯/১২/২০১৯ তারিখে মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে বিভাগীয় উপ পরিচালক রাজশাহী বরাবর একটি চিঠিতে প্রধান শিক্ষিকা মাজেদা খাতুনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে উপজেলার দূরবর্তী কোন বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কারণে বদলীর নির্দেশ দেয়া হয়।
সূত্রমতে, অজ্ঞাত কারণে প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও মহাপরিচালকের দপ্তরের দেয়া আদেশ কার্যকর হয়নি। ওই এলাকার নাগরিক মজিবুর রহমান মুকুল বলেন, ওই শিক্ষিকার আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি,অসদাচরণ ইত্যাদি উল্লেখ করে ২০১৮সাল থেকে অভিযোগ দেয়া চলমান রয়েছে। তার আপন ভাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার হবার সুবাদে প্রায় একদশক ধরে তার দাপট ও সেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ সাঁথিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা। তার ইচ্ছার বাইরে কর্মকর্তাদের কাজ করার সুযোগ নাই। তার দুর্ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে ভাল ভাল শিক্ষক তার স্কুল থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যায় ।
তিনি ঠিকমত প্রশিক্ষণ নেননা । যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানও করান না। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাঁথিয়া অফিসে এসে সবার অলক্ষে শিক্ষা অফিস থেকে তার বিরুদ্ধে দেয় মহাপরিচালক ও উপপরিচাক রাজশাহীর মূল চিঠিগুলো গায়েব করেন। অফিস থেকে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন ফটোকপি করার জন্য নিয়েছেন, ফেরৎ দেবেন কিন্তু তা আর ফেরত দেননি। এর আগেও যত তদন্ত হয়েছে তার ভাইয়ের কারণে কোন তদন্তই আলোর মুখ দেখেনি ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে আরও দু’টি অভিযোগ তদন্ত করে রিপোর্র্ট দেয়ার জন্য পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্র্মকর্র্তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা রাজশাহী থেকে।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানান, দুর্নীতির দায়ে সাঁথিয়া থেকে বদলীকৃত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুনের বিরুদ্ধে যে তদন্ত হবার কথা রয়েছে সেই তদন্তে শিক্ষিকা মাজেদা খাতুন তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছেন। মজিবর রহমান মুকুল জানান, এবার ডিজির নির্দেশ বাস্তবায়ন না হলে লোকজন নিয়ে ঢাকা গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরের সামনে অনশন করা হবে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষিকা মাজেদা খাতুন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন।
স/মা
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়