সোমবার ০৬ মে ২০২৪ বৈশাখ ২২ ১৪৩১ ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৩
বঙ্গোপসাগরের তীরে দুবলারচর এখন জেলে মত্স্যজীবীদের পদচারণায় মুখরিত। সেখানে পুরোদমে শুরু হয়েছে সাগর থেকে মাছ ধরে শুঁটকিকরণ-প্রক্রিয়া। দুবলার চারটি চরে এ বছর ১০ সহস্রাধিক জেলে সমবেত হয়েছেন বলে বনবিভাগ জানিয়েছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুবলার আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, শ্যালার চর ও নারিকেলবাড়ীয়া চরে ১০ সহস্রাধিক জেলে এসেছেন। এসব চরে জেলেদের থাকার জন্য বনবিভাগ আলোরকোলে ৮২৫টি, মাঝেরকেল্লায় ৪০টি, নারিকেলবাড়ীয়ায় ৯৫টি এবং শ্যালারচরে ৭৫টি অস্থায়ী জেলেঘর নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে।
এছাড়া আলোরকোলে ৯০টি দোকান, ৫১টি মাছের ডিপো, মাঝেরকেল্লায় দুইটি দোকান, পাঁচটি মাছের ডিপো, নারিকেলবাড়ীয়ায় দুইটি দোকান, চারটি ডিপো এবং শ্যালারচরে দুইটি দোকান ও চারটি মাছের ডিপো বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সাগরতীরে জেলেদের অস্থায়ী থাকার ঘর, মাছ শুকানোর চাতাল এবং মাচা বানাতে সুন্দরবনের কোনো গাছপালা ব্যবহার না করার জন্য বনবিভাগের নির্দেশনা রয়েছে। এসব বানাতে জেলেরা গ্রামের গাছপালা সঙ্গে নিয়ে গেছেন।
দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বনবিভাগের অবরোধের কারণে শুঁটকি আহরণ মৌসুম শুরুর ১৫ দিন পর জেলেরা ৩ নভেম্বর মরাগোনে দুবলারচরে পৌঁছান। এতে প্রথমে তারা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হন। তবে এখন জেলেরা পুরোদমে সাগরে মাছ ধরা শুরু করেছেন। রোদের তাপে মাছ শুঁটকি করার কাজও শুরু হয়েছে। মাছ শুঁটকিকরণ হলে ট্রলার ও কার্গো বোঝাই করে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হবে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের জেলেপল্লি দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মো. খলিলুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন, দুবলারচরে শুঁটকি মৌসুম শুরু হয়েছে। প্রায় ২ হাজার ট্রলার ও নৌকা নিয়ে এখানে আগত জেলেরা নভেম্বর থেকে মার্চ এই পাঁচ মাস সাগরে মাছ ধরবেন। ধরে আনা মাছ জেলেরা মাচায় শুকিয়ে শুঁটকি করবেন। শুঁটকি খাতে গত বছর প্রায় ৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল বনবিভাগ। এ বছর বনবিভাগ ৭ কোটি টাকার অধিক টাকা রাজস্ব আদায় নির্ধারণ করেছেন। তবে মৌসুম শুরুর প্রথম গোনে জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় নভেম্বর মাসে তাদের রাজস্বঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে বলে ঐ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়