বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২২
কাজিরহাট-আরিচা নৌ পথে ফের সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। ঘাটের একমাত্র পন্টুনে রো রো ফেরি ভিড়তে পারছে না। ফলে এ নৌ পথে চলাচল করা রো রো ফেরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনটি ছোট (ডাম্প) ফেরি দিয়ে পরিবহন পারাপার করে মন্থর গতিতে সচল রাখা হয়েছে নৌ-পথ। তিনটির মধ্যে ফেরি ‘কপোতি’ গতকাল রোববার (২ জানুয়ারি) থেকে বিকল। চলছে ফেরি ‘কদম’ ও ‘ক্যামেলিয়া’। সে কারণে ঘাটে আসা পরিবহনগুলোকে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বিআইডব্লিউটিসি) মাহবুবুর রহমান জানান, ‘শুরুতে এ নৌ-পথে দুটি রো রো ফেরি (বড়) ও দুটি ছোট (ডাম্প) ফেরি দিয়ে পরিবহন পারাপার করা হচ্ছিল। এতে করে ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছিল।
তবে সম্প্রতি নদীর পানি নিচে নেমে গেলে পন্টুন জটিলতায় রো রো ফেরি দুটি ঘাটে ভিড়তে পারছিল না। পরে রো রো ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল ও রো রো ফেরি গোলাম মওলাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।’
মাহবুবুর রহমান বলেন, ছোট ফেরি ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০টি পরিবহন পার করতে পারছে। তবে প্রতিদিন যে পরিমাণ পরিবহন এ ঘাটে আসছে তাতে জরুরিভাবে নতুন পন্টুন স্থাপন ও ফেরির সংখ্যা বাড়ানো না হলে সহজেই এ বিড়ম্বনা কাটবে না।
আজ সোমবার সকালে কাজিরহাট ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাট থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত প্রায় দেড় শ যানবাহনের সারি রয়েছে। এতে করে পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড শীতে তাঁরা রাস্তার ওপর রাতযাপন করছেন। টার্মিনালেও নেই পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার।
সোনা মসজিদ স্থলবন্দর থেকে ডাউলভর্তি ট্রাক নিয়ে ঢাকায় উদ্দেশ্য যাত্রা করা পাবনার ট্রাক ড্রাইভার নেয়ামত আলী বলেন, এই নৌ পথটি তাঁদের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানি খরচ কমাতে তাঁরা এ নৌ-পথ ব্যবহার করে ঢাকা যাতায়াত করেন। অনেক সময় ঘাটে এসে সঙ্গে সঙ্গে ফেরিতে উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু বেশির ভাগ সময় কপালে জোটে বিড়ম্বনা। ঘাটের বিশৃঙ্খলার জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়