শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২০
পাবনা ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া ডিএএসএস মাদ্রাসার সুপারসহ সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া ডিএএসএস আলিম মাদ্রাসার সুপার ফারুক হোসেন, সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মাষ্টারের যোগ সাজসে ৪ জন শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারী নিয়োগ দিয়ে জনপ্রতি ১২ লক্ষ টাকা করে নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রজ্ঞাপনে বিধি মোতাবেক গর্ভর্নিং বডি ও ম্যানেজি কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট মতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনে নিয়োগের শেষ তারিখ ছিলো ৭ এপ্রিল ২০১৬ এবং ১৩ এপ্রিল কমিটির বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন হয় কিন্তু কাগজপত্র জাল করে ৩০ মার্চ ২০১৬ তারিখ দেখিয়ে নিয়োগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করে।
প্রজ্ঞাপনের কাগজ জাল করে নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন আরবি বিভাগের শিক্ষক আবুজার কেফারী, ইংরেজী বিভাগের শিক্ষিকা জান্নাতুল নাইমা, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা নাজমা খাতুন, সহকারী মৌলভী হারুনার রশিদ ও অফিস সহকারী শফিউল ইসলাম সুমন। এ ব্যাপারে দিঘুলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুপার ফারুক হোসেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিয়োগ জালিয়াতির সত্যতা স্বীকার করে বলেন সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মাষ্টার ক্ষমতার জোরে তাকে দিয়ে জোর পূর্বক এ কাজ করিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে সে নির্দোষ।
সভাপতি আব্দুল আজিজ মাষ্টারের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নিয়মের মধ্যে দিয়েই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে এর বেশি কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
দিঘুলিয়া ডি এ এস এস আলিম মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি মোঃ রইচ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনিও নিয়োগ জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন প্রজ্ঞাপনে কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যা নিয়ম বর্হিভূত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্যবৃন্দরা জানান আব্দুল আজিজ মাষ্টার সভাপতি থাকাবস্থায় মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ ও যথেষ্ট অনিয়ম করেছেন। ফরিদপুর দিঘুলিয়া গ্রামবাসীর দাবী মাদ্রাসার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য।
স/মা
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়