দই বিক্রি করে ঘুরে দাঁড়ালো পাবনার মিলনের খামার
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪
দুধের দাম কম হওয়ায় নিজের খামারে উৎপাদিত দুধ দিয়ে দই বানিয়ে বাজারজাত করছেন পাবনার এক খামারি। অভিনব এ পদ্ধতিতে মুনাফাও করছেন ভালো। অথচ শুধু দুধ বিক্রি করে এসময় ক্ষতির মুখে পড়েছিল তার খামার। যেখানে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হতো তাকে। এখন এক লিটার দুধের দই বানিয়ে খরচ বাদ দিয়েও লাভ হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। খামারটিও ধ্বসের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
পাবনার সদর উপজেলার চোমরপুর কদমতলা গ্রামে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এভাবেই ঘুরে দাঁড়ানোর বাস্তব গল্প লিখছেন খামারটির মালিক আমির সোহেল মিলন নামের এক যুবক। স্ত্রীর নামেই খামারের নাম দিয়েছেন ‘জান্নাত অ্যাগ্রো ফার্ম’। অথচ একসময় জাপানে নাবিকের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে খামার করে লোকসানের চোখ রাঙানো দেখছিলেন এই উদ্যোক্তা। তারপরও হাল ছাড়েননি। খুঁজেছেন বিকল্প পথ। আর সেই পথে সাফল্যও ধরা দিয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, এ ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অনুসরণ করে অন্য খামারিরাও লাভবান হতে পারেন।
স্নাতকোত্তর শেষ করা উদ্যোক্তা মিলন পাবনা সদর উপজেলার চোমরপুর কদমতলা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। আব্দুল কুদ্দুস সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। মিলন দম্পতি এখন এলাকার বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন। তার সফলতা দেখে উদ্বুদ্ধ নতুন খামারিরাও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়ির আঙিনায় কয়েক বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে জান্নাত অ্যাগ্রো ফার্ম। তৈরি করা হয়েছে একাধিক পাকা শেড। খামারের ভেতর-বাইরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। সেখানেই গো- খাদ্যের জন্য চাষ করা হচ্ছে উন্নত জাতের ঘাস।
আমির সোহেল মিলন জানান, তিনি জাপানে চাকরি করলেও মন পড়ে থাকত গ্রামে। মনে মনে ভাবতেন কোনো একসময় গ্রামে ফিরে উদ্যোক্তা হবেন। এক পর্যায়ে জাপানে চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন। প্রাণের টানেই বছর পাঁচেক আগে স্ত্রীকে নিয়ে গড়ে তোলেন জান্নাত অ্যাগ্রো ফার্ম। স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত খামারটিতে এখন অর্ধশতাধিক ষাঁড় এবং ১০টি গাভী রয়েছে। এই উদ্যোক্তা এখন বছরে একশোর বেশি গরু মোটাতাজাকরণের পরিকল্পনা করছেন।
মিলন বলেন, বাংলাদেশ কোরবানির পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাইরে থেকে গরু আনার প্রয়োজন হয় না। দেশে নতুন নতুন খামারিও আসছেন।
তরুণ ও বেকারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার বিকল্প নেই। আমি আধুনিক খামার করে দেখিয়ে দিচ্ছি, দেশে শ্রম দিলে টাকা উপার্জনের জন্য জাপান বা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার দরকার হয় না। শ্রম ও নিষ্ঠা থাকলে দেশে থেকেই অনেক আয় করা সম্ভব। আমার খামারে নিজে আয় করছি, পাশাপশি ১০-১২ জনের কর্মসংস্থান করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, স্বপ্ন আছে এই খামারে শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান করবো। দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছি।
মিলনের স্ত্রী শাকিলা ফেরদৌস জানান, তিনিও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। স্বামীর সঙ্গে নিজেও খামারে সময় দেন। স্বামীর বাইরের অনেক কাজ সামলাতে হয়। সেজন্য তিনি সার্বক্ষণিকভাবে খামার দেখভাল করে থাকেন। গো-খাদ্যের পাশাপাশি তিনি হাঁস-মুরগি ও ছাগল পালন করেন।
শাকিলা জানান, শুরুতে গরুর খামার করার কথা শুনে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করতেন। অনেকে ব্যঙ্গ করে এমনও বলতেন, ঢাকার খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ালেখা শেষ করে এসেছে গরুর খামার করতে! যারা এসব বলতেন তারাই এখন প্রশংসা করছেন।
আমির সোহেল মিলন জানান, গাভী পালন করতে গিয়ে তিনি সমস্যায় পড়েছেন গো-খাদ্য নিয়ে। গো-খাদ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি। ১০ বছর আগে এক কেজি গমের ছালের দাম ছিল ৮-১০ টাকা, এখন সেটা ৬০-৬২ টাকা। এখন এক মণ খেসারির ভুসির দাম ১৪০০ টাকা, তখন এসব ভুসি খামারিরা কিনতেনই না। এক মণ খড়ের দাম এখন ৫০০ টাকা। সেই খড় আবার ৩০-৩২ কেজিতে মণ ধরা হয়। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম পড়ে ১৫ টাকা। মিল্ক ভিটাসহ দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দুধ সংগ্রহ কমিয়ে দেওয়ায় তাদের মতো খামারিদের বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ খুঁজে নিতে হচ্ছে।
সংকট কাটিয়ে খামারকে লাভবান করতে বিশেষ কৌশল নেন বলে জানালেন মিলন। তার খামারে প্রতিদিনের উৎপাদিত শতাধিক লিটার দুধের দই তৈরি করছেন। সেই দই পাবনা শহরে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করছেন। এতে তিনি ক্ষতি কাটিয়ে ভালো মুনাফাও করছেন।
এই উদ্যোক্তা জানান, তার খামারে উৎপাদিত দুধ থেকে তিনি প্রতিদিন ৫০০ কাপ দই তৈরি করছেন। প্রতি লিটার দুধ থেকে ১২ কাপ দই তৈরি করেন। প্রতি কাপ দই বিক্রি করেন ২৫ টাকা দরে। সে হিসাবে ১২ কাপ দইয়ের দাম পান ৩০০ টাকা।
এই খামারি বলেন, গরম মৌসুমে ৪০-৪৫ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করতে হয়। তাতে লাভ তো দূরে, খরচ উঠানোই কঠিন ছিল। কিন্তু দই তৈরি শুরুর পরে দ্রুতই খামারের দৃশ্যপট পাল্টে যেতে শুরু করে। এখন প্রতি লিটার দুধে ১২ কাপ দই তৈরি করে ৩০০ টাকা পাচ্ছেন। চিনি ও অন্য খরচ বাদ দিয়েও প্রতি লিটার দুধে তৈরি দই থেকে তার ৮০-৯০ টাকা লাভ থাকে। দুধ বিক্রি করে এ মুনাফার কথা কল্পনাও করা যায় না।
মিলনের বাবা সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস জানান, তাদের মোটামুটি সহায় সম্পদ রয়েছে। ছেলে উচ্চশিক্ষিত হয়ে জাপানে যায়, সেখানে জাহাজের নাবিক ছিল, ভালো বেতনও পেত। তবে ছেলে শুধু টাকার জন্য বিদেশে পড়ে থাকুক তা তিনি চাননি। তিনি চাইতেন ছেলে দেশে ফিরে উদ্যোক্তা হোক, এলাকার তরুণ-যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুক। ছেলেও বাবার সেই চাওয়া পূরণ করেছেন। বাবা হিসেবে আব্দুল কুদ্দুস এখন ছেলেকে নিয়ে গর্বিত। এছাড়া নিয়মিত পরামর্শ ও উৎসাহও দিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ হোসেন জানান, মিলনের খামার এলাকায় অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত। উচ্চশিক্ষিত এ দম্পতি বেশ কিছু লোকের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন।
পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আল মামুন হোসেন মন্ডল বলেন, দুধের দাম কম বলে আমির সোহেল মিলন দম্পতি দই তৈরি করে বিক্রির যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা একটি সৃজনশীল চিন্তা। যা তাদের সাফল্য এনে দিয়েছে। তাদের দেখাদেখি অন্য খামরিরাও উৎসাহ পাবেন।
পাবনার খবর- মে থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করবে ইথিওপিয়ান ও এয়ার চায়না
- চলতি মাসের ২৬ দিনে এলো ১৬৮ কোটি ডলার
- বাজেট হবে জনবান্ধব
- রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাঁচ সন্ত্রাসী আটক
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- তাপদাহে দেশে লবণ উৎপাদনে রেকর্ড
- ফরিদপুরের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় নেই
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত
- পাবনায় বিদ্যুতায়িত হয়ে ইসলামি বক্তার মৃত্যু
- পাবনায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন
- মেয়েদের ছবি এডিট করে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলিং করতেন তারা
- পাবনায় তাপপ্রবাহে বেঁকে গেল রেললাইন, দেরিতে গেল ট্রেন
- ভাঙ্গুড়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
- ভাঙ্গুড়ায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাসেলের পথসভা
- পাবনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- ১০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা বরখাস্ত
- ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি-চিনের দুই সন্ত্রাসী নিহত
- থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল:
- গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত
- আগামীকাল দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ
- স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব
- সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল:
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- সবাইকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসী নিহত
- পাবনায় সাপের দংশনে গৃহবধূর মৃত্যু
- ভাঙ্গুড়ায় ৩ পদে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ
- সাঁথিয়ায় হাট ভেঙ্গে দিলেন এসিল্যান্ড
- পাবনায় মাচায় চাষ হচ্ছে তরমুজ, স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- পাবনার তাপমাত্রা ৪২.৪ ডিগ্রি
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
- ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
- পাবনায় অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি-চিনের দুই সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ
- দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে
- পাবনায় মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে দগ্ধ শিশুর মৃত্যু
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- পাবনায় ব্যাপারীর বলা দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ
- ৩০ বছর পর ঈশ্বরদী-পাকশী রুটে আবার ট্রেন চলবে!
- বিনা টিকিটে ট্রেনভ্রমণ, ২ হাজার যাত্রীকে জরিমানা
- আটঘরিয়ার মেধাবী ছাত্রী শাওন এর স্বর্ণপদকে মনোনীত
- পুলিশের সহায়তায় রেলস্টেশনে ফুটফুটে সন্তানের জন্ম
- সুজানগরের হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ
- হাবিবকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল শিমুলের
- সুজানগরে আগাম আবাদ করা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন
- পাবনা ক্যাডেট কলেজের সবাই গোল্ডেন জিপিএ-৫
- পাবনায় চারা পেঁয়াজ বাজারে উঠছে
- চলন্ত ট্রেনে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন নারী
- পাবনার অলকেশই ‘ডিসকো কিং’খ্যাত বাপ্পী লাহিড়ী
- রাজশাহী-পাবনা ট্রেন চলাচল বন্ধ
- প্রথম দিনে ক্যাটল ট্রেনের আয় ৪২ হাজার টাকা
- ঈশ্বরদীর লিচুকন্যাদের কথা কেউ বলে না