থ্যাঙ্ক ইউ ক্যাপ্টেন
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২০
মোহাম্মদ আলির 'শেষতম' বাউটে রিংয়ের পাশে ছিলেন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোন। মন্থর, টলমল আলিকে তার আট বছরের ছোট ল্যারি হোমসের কাছে আত্মসমর্পণ করতে দেখে স্ট্যালোনের গলায় ছিল হাহাকার- 'মনে হচ্ছে, কোনো জীবিত মানুষের পোস্টমর্টেম করতে দেখছি।'
গতকাল অধিনায়কের 'শেষ' ম্যাচের বাউটে আলির মতো অতটা টলমলে না হলেও বিষাদের সুর বেজেছিল নীরবে। সদ্য সিংহাসন ছেড়ে দেওয়া অধিনায়কের বিহ্বল চাহনি আর স্মৃতিপথযাত্রায় সিলেটের চা বাগানঘেরা স্টেডিয়ামটি যেন হয়ে উঠেছিল জলসাঘর ছবির শেষ দৃশ্যের সেই বিশ্বম্বর রায়। কুড়ি বছরের সোনালি অতীত, ড্রেসিংরুমের ঝাড়বাতি, আনুগত্য আর ভালোবাসায় ঘেরা সমর্থককুল- পুরো জলসাঘরই মুহূর্তে সুনসান, আলো নিভে যেতেই যেন অন্ধকারঘেরা চারপাশ! রূঢ়তম বাস্তবতার সঙ্গে মনকে শাসিয়ে সমঝোতা করা- বড় নিষ্ঠুর সেই লড়াই।
অধিনায়ক 'খেলছেন' থেকে 'খেলেছিলেন'- এক দশকের শ্রুতির মুহূর্তের এই রূপান্তর রক্তমাংসের মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হবেই। মাশরাফিও কি বুঝেছিলেন, অধিনায়কত্ব থেকে সরে না দাঁড়ালে তার প্রিয়তম খেলাটারই ক্ষতি হয়ে যাবে।
হয়তো বা বুঝেছিলেন। হয়তো বা বুঝতে বাধ্য হয়েছিলেন। কী হয়েছিল- খেলা ছাড়ার পর কোনো একদিন আত্মজীবনী লিখলে হয়তো এখনকার অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাবে। দিন-ক্ষণ মনে নেই, তবে সময়কালটা ছিল টি২০ থেকে অবসর নেওয়ার আগে আগে। একদিন বেশ রাতে একটা স্ট্যাটাস দিলেন তিনি- 'কোথায় কবে কোন তারা ঝরে গেল আকাশ কি মনে রাখে...'। পুরোনো বাংলা গান, নাইনটিজের হিন্দি মেলোডি গান তার খুব প্রিয় জানি।
কিন্তু হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের 'মুছে যাওয়া দিনগুলো' গানের সেই কলিই কেন ওই রাতে মনে পড়েছিল তার? সেবার টি২০ থেকে তার অবসর নেওয়ার পেছনে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বড় চাপ ছিল। কোচ চাইছিলেন তারুণ্যনির্ভর ফিট একটি স্কোয়াড। মাশরাফিকে বাদ দিয়ে নতুন অধিনায়ক চাওয়ার কথাও তিনি বোর্ড সভাপতির কাছে পরিস্কার জানিয়েও ছিলেন। অধিনায়কত্ব ছেড়ে শুধু ক্রিকেটার হয়ে খেলার প্রস্তাব ছিল তখন মাশরাফির সামনে; কিন্তু তিনি তা মানতে না পেরে কলম্বোতে টস করার সময়ই অবসর ঘোষণা করেন। তার ওই ঘোষণাই তখন চমক ছিল। কিন্তু ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার মধ্যে কোনো চমক নেই। বরং তার 'অবসর' ঘোষণা না করার মধ্যে কৌতূহল আছে।
মাশরাফি বিন মুর্তজা বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটি স্বর্ণ অধ্যায়। নক্ষত্রপুঞ্জের মাঝে তিনিই শশী। তার চন্দ্রাতাপ সূর্যকিরণ হয়ে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মতো দলকে ঝলসে দিয়েছে। আশরাফুল-পরবর্তী সময়ে তিনিই দলের মধ্যে এই সাহস এনে দিতে পেরেছিলেন যে, প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক, তাদের খেলোয়াড়রা যতই তারকা হোক- মাঠে নেমে চোখে চোখ রেখে খেলবে বাংলাদেশিরা। একজন অধিনায়কের জন্য তিনটি কাজ মেধা, বুদ্ধিমত্তা আর কৌশলে করতে হয়।
যদি ড্রেসিংরুমে তারকার ভিড় থাকে তাহলে সবাইকে মিলে 'ড্রেসিংরুমে সুখী পরিবার' তৈরি করা, যা তিনি পেরেছিলেন। বিদেশি কোচ ও স্টাফদের কৌশল ও চাহিদাগুলো নিজে বুঝে নিয়ে মাঠে সতীর্থদের বুঝিয়ে দেওয়া এবং তাদের কাছ থেকে সেরাটা নিংড়ে নেওয়া, তাতেও মাশরাফি সফল ছিলেন। বোর্ডের সঙ্গে যুক্তি আর তর্কে দলের জন্য সেরা সিদ্ধান্তটা বের করে আনা। এ ব্যাপারে কখনও কখনও তিনি অসফলও ছিলেন।
স্কোয়াড নির্বাচনে কখনও কখনও পছন্দের ক্রিকেটারকে নিতে পারেননি। তবে সর্বোপরি ড্রেসিংরুমের প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে আস্থা ও ভালোবাসা পেয়েছেন, বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন, মিডিয়ার কাছ থেকেও যথেষ্ট সমর্থন আদায় করতে পেরেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। একটা মানুষের চৌম্বকীয় চৌহদ্দিতে পড়ে সবাই এমন আকর্ষিত হতে পারে, তা দেখিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্রিকেট ঘিরে এই যে মাদকতা, তা থেকে মুক্তি নিতেই যত কষ্ট হচ্ছিল তার। আর সে কারণেই তিনি ঠিক করেছেন, 'অধিনায়কত্ব' ছেড়ে দেবেন, তবে খেলাটি ছাড়বেন না- আপাতত তা চালিয়েই যাবেন।
আসলে বিশ্বকাপের পর গত আট মাসে নিজের মধ্যে লালিত কিছু বিশ্বাসে ধাক্কা খেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের সঙ্গে অনেক লড়াই করে তাই একরকম সিদ্ধান্তও নিয়েছেন নতুন করে শুরু করার, হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন 'নতুন শুরু'। যে মাশরাফি বিন মুর্তজা ঠিক করেছেন আবদুর রাজ্জাক, তুষার ইমরান, শাহরিয়ার নাফীসদের মতো ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাবেন। পারফর্ম করেই দেখিয়ে দেবেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। তার নিজস্ব এ ইচ্ছাকে সম্মান জানাতেই হয়। কিন্তু তার পরও যে নিষ্ঠুর প্রশ্নটি থেকে যায়- বয়স কি তার এই নতুন শুরুকে সাপোর্ট করবে? দুই পায়ে ১১টি সেলাই নিয়ে, ম্যাচের আগে পুরো পায়ে টেপ লাগিয়ে আর কত পথ দৌড়াবেন তিনি? উত্তরের জন্য মাশরাফিও বুঝি বা সময়ের দিকেই তাকিয়ে। এ লড়াইটি মাশরাফির শুধুই একার।
কেননা বিশ্বকাপের পর থেকে এ পর্যন্ত কিছু বাস্তবতা তাকে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে তা। বড় ধাক্কাটি খেয়েছিলেন মাশরাফি ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের সময়। নিজেদের দাবি আদায়ে দেশের সব ক্রিকেটার যখন এক মঞ্চে, তখন মাশরাফিকে ডাকেইনি কেউ। তাহলে কি ওরা আমাকে ওদের কেউ মনে করে না?- এই প্রশ্ন অনেক দিন ধরে মাশরাফিকে অস্থির রেখেছে। অনেক রাত ঘুমাতে দেয়নি তাকে। বিশ্বাসভঙ্গের সে আঘাতটি এখনও ভোলেননি তিনি। এরপর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তার থাকা না থাকা নিয়ে বোর্ডের পরিচালকদের মধ্যে কানাঘুষা তৈরি হয়। মাশরাফি বুঝে নেন, তাকে আর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখতে চাচ্ছে না বোর্ড। সেটাও একটা ধাক্কা ছিল তার।
বিশ্বকাপের সময়ই মাশরাফির 'অতিপ্রিয়' সাংবাদিক ভাইয়েরা আজই কি শেষ ম্যাচ, আজই কি অবসরে যাচ্ছেন- নিয়ে একের পর এক খবর প্রচার করে, তাতেও যেন বিশ্বাসভঙ্গের ধাক্কা খান মাশরাফি। এরপর মিডিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েক মাস দূরত্ব রেখে চলেন। তবে সর্বশেষ ধাক্কাটি ছিল তার কাছে সিলেটে এসে সংবাদ সম্মেলনে 'আমি কি চোর...' বলাটি। সাংবাদিকের ওপর রেগে গিয়ে তার ওই কথাটি রাজনৈতিক অঙ্গনেও নাড়া দেয়। নেতিবাচক প্রচার চলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা কিনা নীতিনির্ধারকের দিক থেকে মাশরাফির পক্ষে যায়নি। আসলে তারকাদের জনসমক্ষে আবেগের বহিঃপ্রকাশ বারণ, চর্চিত অনুশীলনে ঢেকে রাখতে হয় অন্তর্লীন উথালপাথাল, ভেতরের ভাঙচুর। তবু আদতে মানুষ তো! আবেগের শেষ সীমান্তে পৌঁছে গেলে সব প্রতিরোধই বুঝি বা ভেসে যায়।
তবে অধিনায়ক বিদায় নিলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঝড়ের দিনগুলোতে (টাকার হাতছানিতে আইসিএলে অনেকের চলে যাওয়া, আশরাফুলের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠা, আরও অনেক কিছু যা অন্য কখনও লেখা যাবে) আপনিই ছিলেন 'পরানসখা'। থ্যাঙ্ক ইউ ক্যাপ্টেন...। থ্যাঙ্কস ফর গিভ আস এভরিথিং...। আপনি লিখেছিলেন না- 'কোথায় কবে কোন তারা ঝরে গেল আকাশ কি মনে রাখে...'। আপনাকে বলছি, রাতের সব তারারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে।
পাবনার খবর- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার যানবাহনের টোল মওকুফ বঙ্গবন্ধু টানেলে
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- ঈশ্বরদীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধান ও পাট বীজ বিতরণ
- বাংলা নববর্ষে পাবনায় বিশেষ সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- চাটমোহরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
- ঈশ্বরদীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
- ভাঙ্গুড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত
- ঈশ্বরদীতে হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষে সচেতনামুলক কর্মসূচি
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- সাঁথিয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- ঈশ্বরদীতে গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা, মুল আসামী গ্রেফতার
- পাবনায় ঘণ্টা ব্যবধানে ২ প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল সিলগালা
- পাবনায় বিসিকের আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু
- ঈশ্বরদীতে মহিলার দুই পা কাটা গেল ট্রেনে
- পাবনার তিন উপজেলায় ১৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
- দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী
- পাবনার ৩ উপজেলায় লড়বেন ৪১ প্রার্থী
- পাবনায় ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াই, কিং ও কোবরা বিজয়ী
- ঈশ্বরদীতে ট্রেনে দুই পা কাটা সেই মহিলার মৃত্যু
- ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
- পাবনায় ঈদের দিন এমপি প্রিন্স’র কারাগার ও হাসপাতাল পরিদর্শন
- চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় সহযোগিতা,ডা.নাজমীনকে সংবর্ধনা
- পাবনায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে অটোবোরাক চালক, দু’জন আটক
- নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনা নিয়ে এলো ১৪৩১
- রাজধানীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন খালির নির্দেশ
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার
- হাওরে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা
- পাবনায় ট্রাক ড্রাইভারকে পিটিয়ে হত্যা, নারী আটক
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- অপারেশন চলছে, কুকি-চিনকে নির্মূল করা হবে: বিজিবি মহাপরিচালক
- ২০১৮ সালের বর্ষসেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম!
- সব সময়ই নাড়া দেয় মাহমুদউল্লাহকে
- ক্যারিবীয় সিরিজেও অনিশ্চিত তামিম
- টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে আটে বাংলাদেশ
- মোস্তাফিজের শেষের জাদুতে রাজশাহীর জয়
- মাশরাফির ২০০ তে বিসিবির কেক
- বিপিএলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকছে অস্ট্রেলিয়া নির্বাচকদের
- বিশ্বকাপের ব্যাট নিলামে তুলছেন সাকিব
- জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপে পাবনা সদর ফাইনালে
- মিরপুরে তারকাদের মিলনমেলা
- গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ল পাবনার খুদে ফুটবলার রুদ্র
- ২২ ক্রিকেটারের জরিমানা
- সাকিব-মুশফিক-জিমি হতে চাইলে...
- আলবিওনের বিপক্ষে জয় নিয়ে ফিরে এলো অল রেডরা
- টিভিতে আজকের খেলা সূচি