শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৯
তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসা কার্যক্রম। এতে মহাদুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া চার শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ অবস্থায় জরুরি কাজ চালানোর জন্য মঙ্গলবার সকালে বিশেষ বিকল্প ব্যবস্থায় আংশিক সংযোগ চালু করা হলেও তা বেশিক্ষণ কার্যকর রাখা যায়নি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, পাবনা মেডিকেল কলেজের নিজস্ব হাসপাতাল না থাকায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালকে অস্থায়ী হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এজন্য এখানে রোগীর চাপও সব সময় বেশি থাকে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৪১২জন। এর মধ্যে শিশু বিভাগের মাত্র ৩৮টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে দুই শতাধিক। এছাড়া বহির্বিভাগে মঙ্গলবার চিকিৎসাপত্র দেওয়া হয় ৭১০ জন রোগীকে। কিন্ত এত রোগী ভর্তি থাকলেও বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালে এক্স-রে, অপারেশনসহ জরুরি সব চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে হাসপাতালে পানিও নেই। ফলে ভ্যাপসা গরমে এবং অন্ধকারে রোগী ও তার স্বজনদের ভোগান্তির অন্ত নেই। এ অবস্থায় ব্রেইন স্টোকে আক্রান্ত রোগী, প্রসূতি,নবজাতকসহ মেডিসিন ও গাইনি বিভাগের রোগীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালে রাতের চিত্র আরও ভয়াবহ। রাতে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে এক ভূতুড়ে পরিবেশের। শিশু ও বয়বৃদ্ধদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। ভ্যাপসা গরমে রোগীদের জীবন উঠেছে অতিষ্ঠ। এছাড়া পায়খানা-প্রস্রাবসহ প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী এবং তাদের স্বজনদের।
এ বিষয়ে পাবনা জেনোরেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রঞ্জন কুমার দত্ত জানান, রবিবার রাতে হঠাৎ করেই হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মঙ্গলবার বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে চালু করার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হওয়া যায়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগ পাবনা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম জানান, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে ১১ কেভি লাইনের নিজস্ব ট্রান্সফরমার। এই ট্রান্সফরমার থেকে মাটির নিচ দিয়ে যাওয়া লাইনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আকসাদ আল মাসুর আনন জানান, লাইন মেরামতের জন্য পাবনা বিদ্যুৎ ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি মঙ্গলবারের মধ্যেই সংযোগ চালু করা যাবে। গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান খন্দকার জানান, সমস্যা শনাক্ত করা গেছে। খুব দ্রুতই সংযোগ চালু সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
এদিকে হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা নিরাপত্তার অভাবসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ইন্টার্ন চিকিৎসক জয়দেব সুত্রধর ও জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের অভাবে তারা শিশুদের নেবুলাইজেশন দেওয়াসহ জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না। রাতে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে এসব সেবা দিতে না পারায় তারা মানসিকভাবেও কষ্ট পান। তারা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়