শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২১
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঈশ্বরদীর পাকশী রেলওয়ে কলেজের শিক্ষক রাজিবুল আলম ইভানের (৫২) রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আদালত ওই শিক্ষকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং তার চাচাতো ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান আতাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার কলেজশিক্ষক রাজিবুল আলমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান বুধবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীমের আদালতে আসামিকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পৌরসভার পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে দুই মাদ্রাসাছাত্র ও দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।
আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে পোস্ট করতে থাকেন। বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন এই ম্যুরাল ভাংচুরের ঘটনায় একটি পোস্ট দেন একই কলেজের সাদ আহমেদ নামের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।
সহকর্মীর এই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে একই কলেজের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাজিবুল আলম ইভান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এবং তার চাচাতো ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান আতাকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করেন।
কলেজ শিক্ষক রজিবুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দুই নেতাকে কটূক্তির এই লেখা দেখে সংক্ষুব্ধ হন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজু। ওই পেজটির স্ক্রিনশট নিয়ে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বরের তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
শিক্ষক রাজিবুল আলম ইভান এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার সংশ্লিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবীবুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন থেকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে রয়েছেন এই কলেজ শিক্ষক।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়