শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে তিন দিন আটকা ছিলেন রোজিনা আক্তার। পরে নিজেই নিজের হাত কেটে বেঁচে গেলেও দুর্ঘটনায় তার ছোট বোন মারা যান। তবে চিকিৎসা করাতে না পেরে এখন রোজিনার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়। উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ছফুর উদ্দিনের মেয়ে রোজিনা অভাবের তাড়নায় গার্মেন্টে কাজ করতে এসেছিলেন। এখানে পরিচয় হয় একই ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের সঙ্গে। পরে তারা বিয়ে করেন। তবে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে তাদের সুখের সংসার তছনছ হয়ে যায়। ভবনটির তৃতীয় তলায় নিউওয়েব স্টাইল বটম নামের কারখানায় সুইং অপারেটরের কাজ করতেন রোজিনা। একই কর্মস্থলে ছোট বোন মর্জিনা আক্তারও কাজ করতেন। দুর্ঘটনায় তার বোন মারা যান। গত রোববার দুপুরে গাজীপুর গ্রামে রোজিনার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট মেয়ের মুখে ভাত তুলে দিচ্ছেন রোজিনা। তিনি জানান, ভবন ধসের পর অনেক শ্রমিক বাইরে বের হয়ে গেলেও তিনি বোনকে দেখতে গিয়ে ভেতরে আটকা পড়েন। পা দুটো চাপা পড়েছিল মেশিনের নিচে। কোমড়ে ঢুকে গিয়েছিল রড। বাঁ হাতটা আটকে গিয়েছিল পিলারের নিচে। আটকা পড়ার একদিন পর উদ্ধারকর্মীরা তাকে খুঁজে পান। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় তার হাতে একটি করাত দেওয়া হয় আটকা পড়া হাত কাটার জন্য। রাতভর হাত কেটে তৃতীয় দিন দুপুরে তাকে ভেতর থেকে বের করে আনা হয়। পরে সাত মাস চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন। এরপর বিভিন্ন সংস্থার অনুদানের টাকায় গ্রামে জমি কিনে নতুন বাড়ি করেছেন। সেই বাড়িতে দুই মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে বাস করছেন। রোজিনা বলেন, এখনও জীবিকার নিশ্চয়তা হয়নি। স্বামীর ভ্যানগাড়ি চালানোর আয়ে সংসার চলে না। এর মধ্যে প্রায় দেড় বছর ধরে তার শরীর ফুলে যাচ্ছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। রোজিনা নিজের চিকিৎসা ও সন্তানদের পড়ালেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা চেয়েছেন।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়