জামায়াত-বিএনপির ফাঁদে পা না দেয়ায় আল্লামা শফীকে হত্যা!
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
দীর্ঘ সাত বছর পর হেফাজত ইসলামের নাম ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াতের পরিকল্পিত সমাবেশের আসল রহস্যের উদঘাটন হয়েছে। সুত্র মতে, ২০১৩ সালের ৫ মে’র রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশের ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত ছিলো। হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যার পর সকল ষড়যন্ত্র পরিস্কার হয়ে গেছে।
বিএনপি-জামায়াত আর উগ্রপন্থিদের নেতৃত্বে হেফাজত ইসলামের কিছু নামধারি কতিপয় মৌলভীদের ইশারায় নিরিহ মৌলভীদের একত্র করে সমাবেশের আয়োজন করে রাজধানী অবরুদ্ধ করেছিলো তারা। তাদের একটি উদ্দেশ্য ছিলো সাধারণ মানুষের মনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্রেন ওয়াশ করা আর পাকিস্তানি শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এশিয়ার প্রখ্যাত আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত হাটহাজারী মাদরাসা ও বাংলাদেশের কওমী মাদরাসার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি প্রকাশ্যে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধ অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন এবং বই লিখেছেন।
এ কারণে তার ওপর জামায়াত-শিবিরের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। শাপলা চত্বরে জামায়াত-বিএনপির ফাঁদে পা না দেয়ায় তখন থেকেই শফী হুজুরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করার ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতা হয়।
আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর-২০২০ পাকিস্তানের দোসর জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। শফী হুজুরের হাতে গড়া অরাজনৈতিক কওমি সংগঠনকে পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির হাতে তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে।
পারিবারিক সুত্র মতে, গত ১৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে’ দাবি করে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছিলেন তার শ্যালক মো. মঈন উদ্দিন। আল্লামা শফীর স্ত্রী বিবি ফিরোজা বেগমের পক্ষ থেকে তিনি এ দাবি তুলে ধরেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় জামায়াতের লেলিয়ে দেয়া ক্যাডার বাহিনীকে ব্যবহার করে মাদরাসা অবরুদ্ধ করা হয়। আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরী মাদরাসায় অবস্থান করে মীর ঈদ্রীস, নাছির উদ্দিন মুনীর, মুফতি হারুন ইজহার, ইনামুল হাসান গংদের দিয়ে মাদরাসায় লুটতরাজ ও ভাঙচুর শুরু করেন। এমনকি প্রকাশ্যে কোরআন-হাদিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। হযরতের খাস কামরায় ভাঙচুর চালানো হয়। হযরতকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।’
এসময় হামলায় হুজুর ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে অনেক কষ্টে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে বের করা হলেও অসুস্থ হযরতের অক্সিজেন লাইন বারবার খুলে দেয়ায় তিনি মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়েন। এছাড়া পরিকল্পিতভাবে তার অ্যাম্বুলেন্স আটকে হযরতকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়।’
পরিবারের দাবি, হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমাদের কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাস নেই। কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য হেফাজতে ইসলাম নয়। এখন জামায়াত-শিবিরের প্ররোচনায় কাজ করছে তারা। আল্লামা শাহ আহমদ শফী যে উদ্দেশ্য নিয়ে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার বিপরীতে গিয়ে আজকে কিছু সংখ্যক উচ্চাভিলাসী এবং রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী তাদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার মুহতামিম বা মহাপরিচালকের পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন শাহ আহমদ শফী। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে তিনি বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা বোর্ড বা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশেরও (বেফাক) সভাপতি পদেও দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। হেফাজতে ইসলাম নামে যে সংগঠন গড়ে ওঠে, শুরু থেকে সেটির আমিরের দায়িত্বও তিনি পালন করছিলেন কওমী মাদরাসার নেতৃত্বের ওপর ভর করেই।
আহমদ শফীর উত্তরসূরী হওয়ার দ্বন্দ্ব চলছিল মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম বা সহকারী পরিচালক জুনাইদ বাবুনগরী ও শফীর ছেলে আনাস মাদানীর মধ্যে। এর জের ধরে গত ১৭ জুন সহকারী পরিচালকের পদ হারান বাবুনগরী। কিছুদিন পর মাদরাসার কার্যক্রম শুরু হলে ১৫ সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করে মাদরাসার মধ্যেই। এ সময় প্রধান গেইট লাগিয়ে দিয়ে মাদরাসার মধ্যে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর মাদরাসার শুরা কমিটি বৈঠকে আনাস মাদানীকে মাদরাসার সহকারী পরিচালকসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আর মুহতামিম আহমদ শফী নিজে ‘পদত্যাগ’ করেন। ওই দিনই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শফীকে চটগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মারা যান আহমদ শফী।
আল্লামা শফীর পদত্যাগের পর থেকেই হেফাজত ও হাটহাজারী মাদরাসার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় বাবুনগরীর হাতে। এদিকে শফীর জানাজায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়। জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে জুনাইদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার সদ্য প্রয়াত মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় সংগঠনটির যুগ্মমহাসচিব মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন আহমদ শফীর শ্যালক মাঈনুদ্দিন।
অভিযুক্তরা হলেন- মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মামুনুল হক, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজুয়ান আরমান, মো. নজরুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান, মো. এনামুল হাসান ফারুকী, মীর সাজেদ, মাওলানা জাফর আহমেদ, মীর জিয়াউদ্দিন, আহমদ, জুবাইর মাহমুদ, এইচ এম জুনায়েদ, আনোয়ার শাহা, মো. আহমদ কামাল, মো. নাছির উদ্দিন, কামরুল ইসলাম কাছেমী, মো. হাসান, ওবায়দুল্লাহ ওবাইদ, জুবাইর, মুহাম্মদ, আমিনুল হক, রফিক সোহেল, মবিনুল হক, নাঈম, হাফেজ সায়েম উল্লাহ ও মাওলানা হাসান জামি।
পাবনার খবর- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৫ মামলা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার যানবাহনের টোল মওকুফ বঙ্গবন্ধু টানেলে
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- ঈশ্বরদীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধান ও পাট বীজ বিতরণ
- বাংলা নববর্ষে পাবনায় বিশেষ সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- চাটমোহরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
- ঈশ্বরদীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
- ভাঙ্গুড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত
- ঈশ্বরদীতে হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষে সচেতনামুলক কর্মসূচি
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- পাবনায় ঘণ্টা ব্যবধানে ২ প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল সিলগালা
- পাবনায় বিসিকের আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু
- ঈশ্বরদীতে মহিলার দুই পা কাটা গেল ট্রেনে
- পাবনার তিন উপজেলায় ১৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
- পাবনার ৩ উপজেলায় লড়বেন ৪১ প্রার্থী
- দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী
- পাবনায় ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াই, কিং ও কোবরা বিজয়ী
- ঈশ্বরদীতে ট্রেনে দুই পা কাটা সেই মহিলার মৃত্যু
- ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
- পাবনায় ঈদের দিন এমপি প্রিন্স’র কারাগার ও হাসপাতাল পরিদর্শন
- চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় সহযোগিতা,ডা.নাজমীনকে সংবর্ধনা
- পাবনায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে অটোবোরাক চালক, দু’জন আটক
- নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনা নিয়ে এলো ১৪৩১
- রাজধানীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন খালির নির্দেশ
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- হাওরে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- পাবনায় ট্রাক ড্রাইভারকে পিটিয়ে হত্যা, নারী আটক
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন এমপি এলাকার অহংকার
- নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক
- পাবনা জেলা যুবলীগ সঠিক পথেই আছে: চয়ন ইসলাম
- লাঙল প্রতীকেই নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি
- ভোটের মাঠে আইডল ‘মাশরাফি’
- যুক্তফ্রন্ট হ্যাপি : কাদের
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনার জনসংযোগ শুরু
- বিএনপির কাছে জামায়াতের ‘আবদার’ ৪০টি আসন
- আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নিলেন ডিপজল
- আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব বলে বিশ্বাস করি: মকবুল হোসেন
- পাবনা-৩ আসনে বিএনপির অস্তিত্ব নির্ভর করছে মনোনয়নের উপর
- গাজীপুরে আ’লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
- পাবনার ৪ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের জয়
- সেনাবাহিনী নামায় এতো উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই
- জোট-শরিকদের ৬০-৬৫টি আসন