বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২২
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাকেশ্বরী নদীর পানি নিষ্কাশন খালে স্থাপিত সোঁতি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ও শুক্রবার খালে বাঁশের বেড়া ও সোঁতি জাল উচ্ছেদ অভিযান চলে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান। সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদে ১০ বিল পাড়ের প্রায় ৪০ হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেয়েছে।
করমজা ইউনিয়নের শামুকজানি বাজারের দক্ষিণে ও দত্তপাড়া গ্রামের পশ্চিমে বড়গ্রাম মাঠের ভিটা এলাকায় এ সোঁতি জাল স্থাপন করা হয়েছিল। এতে সাঁথিয়া উপজেলার অন্তত ১০টি বিলে পানি নিষ্কাশন বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। স্থানীয় চাষিরা এ এলাকার প্রায় ৪০ হাজার বিঘা জমিতে রবি শস্য আবাদ বিলম্বিত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সাঁথিয়ার টেংড়াগাড়ী বিল, গাঙভাঙ্গার বিল, ঘুঘুদহ বড় ও ছোট বিল, মুক্তর ধর, জামাই দহ, আইরেদহের বিল, সোনাই বিল, কাটিয়াদহের বিল, গজারিয়া বিলসহ অন্তত ১০টি বিলের পানি পাউবো (পানি উন্নয়ন বোর্ড) ক্যানাল দিয়ে বর্ষাকাল শেষে দ্রুত নিষ্কাশন হয়। কিন্তু বেড়া পাউবোর কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানাল এর দুটি স্থানে সোঁতি বাধ (সুক্ষ জালের বাঁধ) দেওয়া হয়েছিল। এভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরছিলেন এলাকার একশ্রেণির প্রভাবশালী মহলের লোকজন। সোঁতিজালের বাধে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় সাঁথিয়ার বিভিন্ন বিলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
এ নিয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) ‘সাঁথিয়ায় সোঁতি বাঁধ, ১০ বিলের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগোনিউজ২৪.কম। এর সত্যতা পেয়ে উপজেলা মৎস্য বিভাগ সোঁতি বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নেয়। পরে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়।
সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম জানান, সোঁতি বাঁধ দিয়ে নির্বিচারে ছোট-বড় ও মা মাছ ধরার ফলে এসব বিলের মৎস্য ভাণ্ডার নষ্ট হচ্ছিল। জলাবদ্ধতায় চাষিরাও ক্ষতির মুখে ছিলেন। এজন্য সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের শামুকজানি বাজার সংলগ্ন কাগেশ্বরী নদীতে স্থাপিত সোঁতি জাল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে উপজেলা মৎস্য অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাঁথিয়া থানার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়