রোববার ১৯ মে ২০২৪ জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১ ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সর্বপরি সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সুজানগরের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, মালিফা হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমাজসেবক,সংগঠক ও উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা একেএম ফজলুল হক। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ঢাকার বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনি ৩ ছেলে ৪ মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার(২১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় তার নিজ জন্মস্থান পাবনার ফরিদপুর উপজেলার কালিয়ানিতে প্রথম জানাজা,সকাল ১০টায় পাবনা পৌরসভার কলাবাগান ঈদগাহ মাঠে এবং দুপুর ২ টায় তার সর্বশেষ কর্মস্থল মালিফা হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তার পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এ এফ এম মনিরুল ইসলাম তরুন।
এদিকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব একেএম ফজলুল হকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সুজানগরের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সাবেক এমপি একেএম সেলিম রেজা হাবিব, অগ্রণী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার(জিএম)একেএম ফজলুল হক,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন, পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান,ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান কোরবান আলী, সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছেত বাচ্চু,সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী মন্ডল,উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, সুজানগর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আলিম রিপন সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
প্রসঙ্গত, একেএম ফজলুল হক জীবিত থাকাকালীন মেট্রিকুলেশন পাশ করে প্রথমে পশ্চিম পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। পরে চাকরি ইস্তফা দিয়ে দেশে চলে আসেন। এরপর ফরিদপুর থানার ডেমরা হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে সুজানগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং সর্বশেষ মালিফা হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত থেকে ১৯৯৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তার লেখা কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো চয়নিকা ১ম ও ২য় খন্ড,এক অনন্য প্রতিভা,হযরত মুহাম্মদ(সা) মদিনায় হিজরত ও বিশে^ ইসলামের দাওয়াত প্রেরণ এবং স্মৃতির ফলকে বেগম রাজিয়া হক।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়