শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
পাবনার চাটমোহরে থাকা ১১টি ইটভাটার একটিরও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লাইসেন্স নেই। চলছে ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে।
অভিযোগ ওঠেছে, কাঠও পোড়ানো হচ্ছে এসব ইটভাটায়। ইটভাটাগুলোর কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে ফসল আর ফল-ফলাদি উৎপাদনে, ঘটছে বায়ু দুষণও।
জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- কিভাবে প্রকাশ্যে এই বে-আইনি কর্মকাণ্ড চলছে। কর্তৃপক্ষ কেন ইটভাটা বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্যটি পাওয়া গেছে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো ইটভাটার হালনাগাদ তথ্য প্রেরণ পত্রে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি ইটভাটা গড়ে ওঠেছে ফসলি জমির মাঠে, পাকা সড়ক আর বসতি এলাকার পাশেই। কিছু ইটভাটার পাশে আছে বাজারও। অথচ বিধানে আছে- বসতি এলাকা ও পাকা সড়কের ধারের কাছে ইটভাটা করা যাবে না।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এসব ইটভাটার মধ্যে একটির কেবল পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আর পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসটিআই’র অনুমোদন আছে। বাকিগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তর ও কৃষি বিভাগের ছাড়পত্রও নেই।
এলাকাবাসাী জানিয়েছে, ফসলি জমি আর নদীর মাটি-ই এসব ইটভাটার প্রধান কাঁচামাল। এই কারণে উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। হরিপুর ইউনিয়নের তেবাড়িয়া এলাকায় ফসলি জমিতে প্রকাশ্যে ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন চলছে।
অথচ বিধান বলছে- কোনও ভাবেই ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। কিন্তু বিধানটি বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ তেমন একটা চোখে পড়ছে না। তাই ফসলি মাঠে গড়ে ওঠা ইটভাটা বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়