বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১০ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২
পাবনার চাটমোহরে মায়ের দায়ের করা মামলায় এক সন্তান এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন। ঘটনাটি উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে। এমন ঘটনার পরে বুধবার সকালে তার আত্মীয় স্বজনদের দ্বারা আবারও সেই ছেলেকে মারপিট করে মারাত্মক আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ইয়াকুব প্রামানিকের স্ত্রী মাজেদা খাতুন (৬২) দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলে শাহ আলমের সাথে বসবাস করছিলেন। মা-বাবার খাবারসহ আনুসাঙ্গিক সকল দায়িত্ব পালন করতেন শাহ আলম। ডিম ও মুরগীর ব্যবসায়ী শাহ আলম কিছুদিন যাবৎ ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হন। এক পর্যায়ে তার মা মাজেদা খাতুন জমি বিক্রি করে শাহ আলমের ব্যাংক ঋণ পরিশোধে সহযোগিতা করেন।
বিষয়টি জানার পর শাহ আলমের ভাই আঃ সামাদ ও বোন-ভগ্নিপতি শাহ আলমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে মাকে নানাভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদের আয়ত্ত্বে আনেন। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা মাজেদা খাতুন ছেলে শাহ আলমের বাড়ি থেকে চলে যান এবং বিভিন্ন স্থানে বলেন তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মাজেদা খাতুন পাবনার রুপপুরে মেয়ে রেশমার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে অন্য ছেলে ও মেয়েদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জমি বিক্রির টাকার বিষয়ে অভিযোগ তৈরি করে মাজেদা খাতুন ছেলে শাহ আলমের বিরুদ্ধে পাবনার আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। শাহ আলমের স্ত্রী আরিফা খাতুনকেও বিবাদী করা হয়।
মামলার আরজিতে জমি বিক্রির ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা টিনের বাক্স ভেঙে বের করে নেওয়া ও মাকে মারপিট শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করা হয় শাহ আলমের বিরুদ্ধে। এ মামলায় আদালত শাহ আলমকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠান। পরে জামিন পেয়ে মুক্ত হন।
এদিকে ছেলে শাহ আলমের বিরুদ্ধে মায়ের দায়ের করা মামলার বিষয়টি এলাকায় আলোচিত হচ্ছে। সরেজমিন ভবানীপুর গিয়ে জানা যায়, শাহ আলমের মামা তোয়াজ আলী, ভাই আঃ সামাদ ও বোন রেশমাসহ অন্যরা মাজেদা খাতুনকে ভুল বুঝিয়ে মামলাটি করিয়েছেন। মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। শাহ আলম তার মাকে কোনদিন মারপিট করেননি এবং বাড়ি থেকে বের করেও দেননি।
মামলায় অভিযুক্ত শাহ আলম বলেন, আমার ভাই বোন ও ভগ্নিপতি মাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। মায়ের সাথে আমাকে কথা বলতে বা দেখা করতে দেওয়া হচ্ছেনা। উপরন্তু আমাকে নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বুধবার সকালে বাজারের মধ্যে শতশত লোকের সামনে আমাকে প্রকাশ্যে তারা এসে লাঠি দিয়ে বে-ধরক মারপিট করেছে।
আমি পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি বলেন, মায়ের মামলার পর কোন রকম তদন্ত করা হয়নি। যাচাই করা হয়নি সত্য-মিথ্যে। তিনি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতিকার চান।
এ বিষয়ে মাজেদা খাতুন ও শাহ আলমের ভাই আঃ সামাদের সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়