শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২
এখন মাঘ মাস কনকনে শীত আর হালকা কুয়াশা চারিদিকে। কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো ফুটছে। কুয়াশা কাটতে না কাটতেই জীবন জীবিকার তাগিদে বিলের দিকে ছুটছেন মানুষ। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য সবার কাঁধে মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে ছুটছে বাউৎ (মাছ ধরা) উৎসবে। এ যেন প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য।
আজ রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে চলনবিল অধ্যুষিত পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল কাটা নদীতে চলে মাছ ধরার উৎসব। পলো ও বিভিন্ন প্রকার জাল নিয়ে অসংখ্য সৌখিন মৎস্য শিকারি মেতেছেন এই উৎসবে।
মাছ ধরার এই উৎসবের নাম বাউৎ উৎসব। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে চলনবিলে এই বাউৎ উৎসবের রেওয়াজ। বিলের পানি কমে গেলে এই পদ্ধতিতে মাছ ধরা হয়ে থাকে। বাউৎ উৎসবে ধনী গরিবের ভেদাভেদ নেই এখন। যার পলো আছে সেই নামতে পারে শিকারে। মাছ ধরতে বিলে নেমেছে অসংখ্য মানুষ। হৈচৈ আর চেচামেচিতে মুখোর চারপাশ। বাউৎ উৎসবে পাবনার আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী ও চাটমোহরের শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছে।
চাটমোহর মূলগ্রাম থেকে বিলে মাছ ধরতে আসা রফিকুল ইসলাম (৭০) সাথে কথা হয়। সে বলেন, প্রতিবছর এই মৌসুমে আমরা বিভিন্ন বিলে মাছ ধরতে আসি, আজ এসেছি হান্ডিয়াল কাটা নদীতে মাছ ধরতে। পলো দিয়ে মাছ ধরা আমার দীর্ঘদিনের পেশা। তবে আগেকার তুলনায় দেশীয় প্রজাতির মাছ কমে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিলে মাছ ধরতে আসা ব্যক্তিরা বলেন, বর্ষা মৌসুমে চায়না জালসহ বিভিন্ন অবৈধ জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় খালে বিলে এখন মাছ কমে গেছে। তাই এখন আর তেমন মাছ নেই এই বিলে।
ঈশ্বরদীর মূলাডুলি থেকে আসা মশিউর রহমান নামে এক সৌখিন মাছ শিকারির সাথে কথা হলে তিনি জানান, শখ করে মাছ ধরতে এসেছি আমরা, মাছ পাই আর না পাই বাউৎ উৎসবে মাছ ধরা আমাদের অন্যতম শখ।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়