বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩
পাবনার চাটমোহরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বিদেশী সবজি ক্যাপসিকাম চাষ। অনুকূল আবহাওয়া, উপযুক্ত মাটি হওয়ায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছেন। তার দেখে উপজেলার অনেক কৃষক ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ৩০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে। উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল বগুড়া থেকে চারা সংগ্রহ করে ৩০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এখানে দুই জাতের ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে। এগুলো হলো উচ্চফলনশীল ইন্দিরা ও টাইগার।
ক্যাপসিকাম চাষী ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল বলেন, উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নে নিজ গ্রামে নিজস্ব জমিতে পলি নেট হাউজ পদ্ধতিতে গত জানুয়ারিতে ৪ হাজার চারা রোপণ করেছি। ক্যাপসিকাম চাষ সম্পর্কে প্রথমে ইউটিউব ও শাইখ সিরাজের কৃষি দিবানিশি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পেরে ক্যাপসিকাম চাষে উদ্বুদ্ধ হই। ক্যাপসিকাম সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় ও মূল্যবান সবজি। এটাকে আমাদের দেশে মিষ্টি মরিচও বলা হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় দাম ভালো পাওয়ার আশায় এ ফল চাষ শুরু করেছি। গাছে গাছে অনেক ফল ধরেছে। এখন ফল তোলা শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত এ ফল প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি।
তিনি আরো জানান, ৩০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করতে ফল তোলা পর্যন্ত তার প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। মাত্র তিন মাসেই প্রায় ১ হাজার ৫শ কেজি ফল উৎপাদনের আশা করছি। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় হবে আশা করছি। ইতালি থেকে ক্যাপসিকামের বীজ সংগ্রহ করে নিজেই চারা উৎপাদন সহ আগামীতে এ চাষ আরো বৃদ্ধি করবেন বলে তিনি জানান।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অর্জুন কুমার সরকার বলেন, আমাদের দেশে ক্যাপসিকাম খাওয়ার প্রচলন বেশি না থাকলেও এর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, দেশের অভিজাত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
ক্যাপসিকামের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। ভিটামিন সি-সহ অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরা এ সবজি বিদেশে রফতানি করেও বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব। প্রতিদিন অনেক লোক প্রদর্শন করছে এবং আশপাশের অনেক চাষী এ সবজির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে আগামী মৌসুমে চাষাবাদ করবেন বলে জানা গেছে।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ.এ. মাসুম বিল্লাহ জানান, ক্যাপসিকাম চাষাবাদে চাটমোহরের মাটি ও আবহাওয়া অত্যন্ত উপযোগী। চাটমোহরে শুরু হল অধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন সবজি ক্যাপসিকাম। সঠিকভাবে উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পাওয়া গেলে এ এলাকার কৃষক ক্যাপসিকাম চাষাবাদে আরো বেশি আগ্রহী হবে বলে মনে করি। ক্যাপসিকাম চাষে চাষীকে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ সহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়