বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৮ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২১
সমবয়সিরা যখন খেলাধুলা করে, তখন অদূরে বসে বুক চেপে ধরে কাঁদে আবদুল্লাহ (১১)। গভীর রাতে সবাই যখন গভীর ঘুমে মগ্ন থাকেন, তখন বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করে শিশুটি। এই যন্ত্রণা নীরবে চেয়ে দেখেন অসহায় বাবা-মা।
জানা যায়, চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া আব্দুল্লাহর হার্টের বাল্বে সমস্যা দেখা দিয়েছে। চিকিৎসক দ্রুত অপারেশন করাতে বলেছেন। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো।
কিন্তু টাকার অভাবে একমাত্র ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা সরদারপাড়া গ্রামের দিনমজুর বাবা রাজ্জাক মোল্লা। চিকিৎসার অভাবে বুকের অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শিশুটি। ছেলের এমন করুণ পরিণতিতে পাগলপ্রায় মা রাশিদা খাতুন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ছাইকোলা সরদারপাড়া গ্রামে কয়েকজন শিশু খেলাধুলা করছিল। পাশে বসেই খেলতে না পেরে কাঁদছিল শিশু আবদুল্লাহ।
কারণ দৌড়াদৌড়ি করলেই শ্বাস নিতে কষ্ট হয় ছোট্ট এ শিশুটির। অথচ কয়েক মাস আগেও হাসিখুশি থাকা আবদুল্লাহর সময় কাটতো পড়াশোনা আর খেলাধুলা করে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় আবদুল্লাহ। ভাঙাচোরা একটি টিনের ঘরে বসবাস পরিবারটির।
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস দুয়েক আগে খেলার সময় হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারায় আবদুল্লাহ। শুরু হয় বমি। অসুস্থ ছেলেকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান বাবা রাজ্জাক মোল্লা। কিন্তু পল্লি চিকিৎসক দেন এসিডিটির চিকিৎসা।
কয়েক দিন যাওয়ার পর রোগ না সারায় ধারদেনা করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান দরিদ্র বাবা। সেখানে শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. বেলাল উদ্দিন দেখে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। এরপর চিকিৎসক জানান, আবদুল্লাহর হার্টের ভাল্ব নষ্ট হওয়ার পথে।
দ্রুত ঢাকায় নিয়ে অস্ত্রোপচার করলে সুস্থ হবে। এর জন্য ব্যয় হতে পারে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। দ্রুত চিকিৎসা না করালে আবদুল্লাহকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে দাবি করেন তার মা-বাবা। এ দিকে চিকিৎসকের এমন কথা শুনে দুশ্চিন্তা জেঁকে বসে দরিদ্র পরিবারে। কোথায় পাবেন এত টাকা?
কীভাবেই বা হবে ছেলের চিকিৎসা? দুই মাস অতিবাহিত হতে চললো কিন্তু এখনো একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহর চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে পারেননি অসহায় বাবা রাজ্জাক মোল্লা। আস্তে আস্তে অসুস্থতা বাড়ছে শিশুটির।
রাজ্জাক মোল্লা বলেন, ঘরের জায়গাটুকু ছাড়া কোনো সম্বল নেই। এখন করোনার কারণে কাজও কম। অশ্রুসিক্ত নয়নে মা রাশিদা খাতুন আবদুল্লাহর চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেন।
বিত্তবানরা আবদুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে (০১৭৮৬৩৯৬৪১৯) যোগাযোগ করতে পারেন।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়