বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২২
পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ৪১ হাজার ১৪১টি গবাদী পশু প্রস্তুত করেছে খামারী ও কৃষকেরা। তবে পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্তৃক জানা গেছে,কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৯০২টি গরু,১৭ হাজার ৫৮০টি ছাগল,৩ হাজার ১৬৯টি ভেড়া ও ৪৯০টি মহিষ প্রস্তুত করা হয়েছে। এ উপজেলায় মোট খামারের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৪৫টি। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কৃষকেরা গবাদী পশু লালন-পালন করেন। রেজিস্ট্রেশনকৃত খামারের মধ্যে রয়েছে গাভীর ১৮৬টি,ছাগলের ৫টি ও মুরগীর ২৮১টি।
একদিকে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি আর কোরবানীর সময় ভারতীয় গরু প্রবেশ করায় খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ উপজেলার খামারী ও কৃষকেরা সারা বছর গবাদী পশু পালন করে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করে থাকেন। গরু মোটাতাজা করা হয় প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে সার্বক্ষনিক খামারীদের সহযোগিতা করা হয়। রোগ বালাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ইতোমধ্যে কোরবানীর পশু বিক্রির জন্য হাটে উঠতে শুরু করেছে। বুধবার (২৯ জুন) চাটমোহর পৌরসভার নতুন হাটে গিয়ে দেখা গেল গরুর তেমন আমদানী নেই,তবে অসংখ্য ছাগলের আমদানী হয়েছে। ছাগলের দাম তুলনামূলকভাবে কম। ৫ থেকে সাড়ে ৫ মণ ওজনের একটি গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। মহিষের দাম কম। ৭ মণ ওজনের একটি মহিষ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায়। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি গরু রয়েছে। তাদের বিভিন্ন দাম দেওয়া হয়েছে। সেকল গরুর ওজন ২০ থেকে ৩৫ মণ পর্যন্ত। সে সকল গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে ক্রেতা মিলছেনা।
উপজেলার মথুরাপুরের খামারী আশরাফ হোসেন জানালেন,এবার আশা ছিল গরুর দাম ভালো মিলবে। কিন্তু অকাল বন্যায় ধানের ক।সতি হওয়ায় অনেকে কোরবানী দিচ্ছে ছাগল। ফলে গরুর চাহিদা কমেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরে আলম সিদ্দিকী জানান,চাটমোহরে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যার পরিমাণ ৪১ হাজারের বেশি।প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে সার্বক্ষনিক খামারী ও কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। পশু রোগ বালাইমুক্ত হৃষ্টপুষ্ট করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়