বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২০
পাবনার চাটমোহর উপজেলার বরদানগর গ্রামে সেচযন্ত্র স্থাপন ও চাষাবাদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।
গতকাল বুধবার বিকেলে চাটমোহর পুরাতন বাজার এলাকার অগ্রহী ব্যাংকের পেছনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বরদানগর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলামের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোলাম রব্বানীর ছেলে তারেকুজ্জামান।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, ছাইকোলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বরদানগর গ্রামের জুব্বার প্রামানিকের ছেলে আবদুল ওহাব ও আজির মোল্লার ছেলে আজাদ হোসেনের সাথে যৌথভাবে সেচ স্কিম পরিচালনা করতেন শহিদুল ইসলাম। কিন্তু বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে আবদুল ওহাব আত্মসাত করেন। এনিয়ে গ্রামে ও থানায় সালিশ বৈঠকও হয়। তখন শহিদুল ইসলাম আলাদাভাব সেচ স্কিম বসায়। এজন্য উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সেচযন্ত্র চালু করেন।
কিন্তু আবদুল ওহাব এই স্কিমের ভেতর ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন চালু করে চাষাবাদে বাধা সৃষ্টি করছেন। শুধু তাই নয়,আবদুল ওহাব বারবার উপজেলা অফিসে ও বিদ্যুৎ অফিসে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে শহিদুল ইসলামকে হয়রানী করতে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, নিজে সেচ স্কিমের অনুমোদন না পেয়ে শহিদুল ইসলামের লাইসেন্স বাতিল ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেন আবদুল ওহাব। এতে ব্যর্থ হয়ে সে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন বসিয়ে চাষাবাদে বিঘœ সৃষ্টি করাসহ জমির মালিকদের ও শহিদুল ইসলামকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
শুধু তাই নয়,উেেপজলা কৃষি অফিসে অভিযোগ দিয়ে আবারো শহিদুল ইসলামকে হয়রানী করা হচ্ছে। ইউপি সদস্য আবদুল ওহাব শহিদুল ইসলামের স্কিমের জন্য তৈরি ড্রেন দিয়ে পানি দিতে দিচ্ছেন না। যেসব জমির মালিক তার আওতায় আসবে না,তাদের জমি পতিত রাখার হুমকি দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলা অফিস ও বিদ্যুৎ অফিসে অন্তত ১০ বার তদন্ত করে আমার পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছে। আমি ১৪ বছর যাবত স্কিম করে আসছি। ইউপি সদস্য আবদুল ওহাব বারবার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছেন। শহিদুল ইসলাম ইউপি সদস্য আবদুল ওহাবের বিরুদ্ধে অনুমোদন বিহীন সেচযন্ত্র স্থাপন ও হুমকি দেওয়ার তদন্ত দাবি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আবদুল ওহাবের মোবাইলে বারে বারে কল দিলে তিনি লাইন কেটে দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে দেন।
স/এমএস
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়