শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২২
পাবনার চাটমােহরসহ চলনবিল অঞ্চলে। পৌষের হাড় কাঁপানাে শীত আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত মানুষ। চলছে চলনবিল অঞ্চলে হাড় কঁপািনাে শীত। শৈত্যপ্রবাহে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে। ভােরের গাঢ় কুয়াশায় প্রকৃতিতে সূর্যের দেখা মিলছে না সহজে। চলনবিল অঞ্চলে রােদের প্রখরতা কমতে শুরু করেছে। বেড়েছে সকাল-সন্ধ্যায় ঘন কুয়াশা, বেলা গড়িয়ে দেখা মিলছে সূর্যের। খেটে খাওয়া বিপর্যস্ত মানুষেরা কোনাে মতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টায় দিন পার করছেন। পৌষের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসেছে শীত। শীতকে মােকাবেলা করতে লেপ-তােষক তৈরির কারিগররা এখন সার্বক্ষণিক ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর সাধারণ মানুষ শীত থেকে রক্ষা পেতে লেপ তােষক তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। এদিকে গত বছরের তুলনায় এবার লেপ তৈরির কাপড় ও তুলার দাম একটু বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। চাটমােহরের হান্ডিয়াল এলাকার মােঃ সােহেল রানা জয় লেপ তৈরির অর্ডার দিতে এসে বলেন, হাড় কাঁপানাে শীতে সারাদিনে গরম কাপড় পড়লেও সন্ধ্যার পর কাঁথা বা চাদর গায়ে জড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আর রাতে লেপ তােষক ছাড়া ঘুমানাে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগেও ঠান্ডা কম ছিলাে। চাটমােহর রেল বাজার এলাকার লেপ-তােষক তৈরির কারিগর আশরাফুল ও আব্দুল ওয়াহাব জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কাপড় ও তুলার দাম বেশি। এ কারণে লেপ-তােষক তৈরিতে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
চাটমােহর রেল বাজার এলাকার লেপ-তােষক তৈরির কারিগর আশরাফুল ও আব্দুল ওয়াহাব জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কাপড় ও তুলার দাম বেশি। এ কারণে লেপ-তােষক তৈরিতে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সমাজ বাজারের সরকার বস্ত্রালয় স্বতাধিকার জাহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে প্রকার ভেদে লেপ-তােষক তৈরির কাপড় প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। এছাড়া শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, প্রতি কেজি কালাে হুল ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কালাে রাবিশ তুলা ৩০ থেকে ৫০ টাকা, সাদা তুলা ৮০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা করে দাম চলছে। আকার অনুযায়ী লেপ তােষক তৈরিতে ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে একটি ভালাে মানের লেপ তৈরি করতে খরচ হচ্ছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। এছাড়া ভালাে মানের তােষক তৈরি করতে খরচ পড়ছে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, শৈত্যপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ১০টি লেপ-তােষকের অর্ডার পাচ্ছি। তাই সার্বক্ষণিক কাজেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়