শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০
মৎস্য ভান্ডার খ্যাত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চলনবিলে বর্ষার পানি এসেছে। পানি আসার সাথে সাথে মা ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে।
ডিমওয়ালা মা মাছ নিধনরোধে প্রশাসনের কোন প্রকার পদক্ষেপ নেই। ফলে থামছে না মা ও পোনা মাছ নিধনযজ্ঞ। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল,বাদাই জাল,খৈলশুনিসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে রাত-দিন চলছে মা ও পোনা মাছ ধরা।
প্রতিদিন সকালে বিলপাড়ের চাটমোহর,তাড়াশ,ভাঙ্গুড়া,বড়াইগ্রাম,গুরুদাসপুর ও সিংড়া উপজেলার বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি,সরকারি কর্মকর্তাসহ বিলপাড়ের স্বচ্ছল পরিবারের ব্যক্তিরা ডিমওয়ালা মাছ কিনতে যেন উন্মুখ হয়ে থাকেন।
শনিবার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি করতে দেখা গেল। প্রতি কেজি টেংরা ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা,পুঁটি ৫শ’ টাকা,মোয়া মাছ ৫ থেকে ৬শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
ডিমওয়ালা বোয়াল বিক্রি হয়েছে ৬শ’ টাকা কেজি। ডিমওয়ালা লোভনীয় দেশী মাছ ও পোনা মাছ কিনতে ভীড় পড়ে যায়। বর্ষা শুরু হলে জুন-জুলাই মাসে চলনবিলে মাছ ডিম ছাড়ে।
এসময়টাতে মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযায়ী যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কেউ আইনের তোয়াক্কা করছে না। এভাবে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন করা হলে চলনবিল থেকে দেশী প্রজাতির মাছ ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে সচেতন মহলের অভিমত।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.মাহবুবুর রহমান জানান,ইতোমধ্যে কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। মা মাছ নিধনরোধে দ্রুত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়