শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে৷ এ সময়ে দুর্বল নেতৃত্বের কারণে বিএনপি তার মুক্তির জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বলে মনে করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন৷
দুই বছর ধরে কারগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া৷ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ সেদিনই তাকে জেলে পাঠানো হয়৷ পরে এই মামলায় দুদকের পুনর্বিবেচনার আবেদনে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট৷ একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত৷ সব মিলিয়ে দুই মামলায় খালেদা জিয়া ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে দুই বছর ধরে কারাগারে আছেন৷
মোট ৩৪টি মামলার ৩২টিতেই খালেদা জিয়া জামিনে আছেন৷ কিন্তু এই দুটি মামলায় জামিন মিলছে না৷ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আপিল বিভাগেও তার জামিন নাকচ হয়েছে৷ আর অরফানেজ ট্রাস্টের মামলায় শাস্তি বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া এখনো এগোয়নি৷
নেতৃত্বের ব্যর্থতায় আন্দোলন গড়ে ওঠেনি
খালেদা জিয়াকে কারাগারের পাঠানোর পর বিএনপি তার মুক্তির দাবিতে কার্যকর কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি৷ এমনকি ২০১৮ সালে তাকে যেদিন কারাগারে পাঠানো হয় সেদিনও বড় ধরনের কোনো প্রতিবাদ হয়নি৷ ২০১৮ এবং ১০১৯ সালের কর্মসূচি বিশ্লেষণে দেখা যায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সীমাবদ্ধ ছিল বিক্ষোভ, প্রতীকী অনশন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে৷ রোগমুক্তির জন্য দোয়া মোনাজাতেরও আয়োজন করেছে দলটি৷ কিন্তু এসব কর্মসূচিতে তারা জনসমাগম ঘটাতে পারেনি৷ এ নিয়ে তৃণমূলে এবং দলের শীর্ষ পর্যায়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে৷
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলেরও সদস্য৷ বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় দল৷ ম্যাডাম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ ম্যাডাম কারাগারে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে৷ বাংলাদেশে যারা আছেন তাদের মধ্যে সাহসী নেতৃত্বের অভাব আছে৷ এজন্য খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সবাই নিজ নিজ অসুবিধার কারণে কোনো সাহসী ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই ওয়ান ইলেভেনের সময় দুর্নীতির মামলা আছে৷ মামলাগুলো শেষ পর্যায়ে আছে৷ তাই তারা অশঙ্কা করছেন সরকারকে তারা অখুশি করলে যেকোনো সময় হাজতে চলে যেতে পারেন৷ ফলে যে ধরনের আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল তা গড়ে তুলতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি৷’
এই ধরনের নেতৃত্বে ভবিষ্যতে বড় কোনো আন্দোলনের সম্ভাবনাও দেখেন না তিনি৷ তিনি তাই খালেদা জিয়ার কারাবাস আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা করেন৷ তিনি বলেন, ‘নেতারা সাহসী হয়ে মাঠে নামলে কর্মীরাও নামত৷ কিন্তু নেতৃত্ব দিয়ে আমি ভবিষ্যতে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বড় কোনো আন্দোলনের আশা দেখি না৷’
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়