বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি তার কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হতে চলেছে। অথচ তার মুক্তির ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা নেই দলটির। যা আছে তা কেবল পরিবারের পক্ষ থেকেই।
দলটির নেতারা বলছেন, বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে কাজ চলছে তবে কিছু অসঙ্গতি ও নেত্রীর পরিবারের অসহযোগিতার কারণে মুক্তির বিষয়টি নিয়ে এক ধরণের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে প্যারোল আবেদনের কথা বলা হলেও দলের অবস্থান ভিন্ন। তারা এ কাজে দলকে সম্পৃক্ত করার বিপক্ষে। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পারিবারিক বিষয়টিকে তারা কোনভাবেই রাজনৈতিক রূপ দিতে আগ্রহী নন।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটা তো বেগম জিয়ার শারীরিক বিষয়, এটা তো দলের কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। তার চিকিৎসা, তার শারীরিক অবস্থার যে অবনতি, তা একান্তই পারিবারিক। এটা তো রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে না, দলেরও সিদ্ধান্ত হতে পারে না। তার পরিবার যেভাবে ভালো মনে করবে, সেভাবে করতেই পারে।
একই কথা বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনও। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও মুক্তি নিয়ে তার পরিবারের বিশেষ আবেদনের বিষয়টি দলীয় কোনও বিষয় নয়। এটা তার শারীরিক ব্যাপার, রাজনৈতিক বিষয় নয়।
এ ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি রাজপথে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তাদের অন্য পথ ধরতে হবে। সেটা দল চাঙ্গা হোক আর খালেদা মুক্তির আন্দোলন হোক। উদ্যোগ নিতে হবে বিএনপিকেই।
খালেদা জিয়ার কারাবাসের ২ বছর পূর্তিতে দলীয় কোন কর্মসূচি থাকছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা এখনও কিছু ঠিক করিনি। আলাপ-আলোচনা করে দেখি কী হয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, ম্যাডামের মুক্তির বিষয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। তবুও কোথায় একটা গিয়ে যেন আটকে যাচ্ছি। দলীয় সাহায্য পেলে কিংবা ম্যাডামের ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘আন্তরিকতা’ পেলে হয়তো এ কাজের গতি আরো বেগবান হতো।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি তার অতীত কর্মের ফল ভোগ করছে। এ কারণেই খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ চুরির দায়ে কারাভ্যন্তরে রয়েছেন। দলটিতে সীমাহীন দুর্নীতি ও সমন্বয়হীনতার কারণে অধিকাংশ নেতাই মাঠের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। এজন্য দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি ইস্যুতে তাদের কোন ভূমিকা নেই। এ থেকে অনুমেয়, তৃণমূল থেকে নীতিনির্ধারক মহল-বিএনপি চেয়ারপারসনকে কতোটা ভালোবাসেন এবং তার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দলের জন্য কাজ করেন।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়