বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু, পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু’নীতিতে অবিশ্রান্ত হয়ে আবারও নামসর্বস্ব বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এবারের বিক্ষোভের কারণ- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার প্রতিবাদে। ২৯ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) লিপ-ইয়ার বা অধিবর্ষে দলটি এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কে এম জহিরুল হকের যুগ্ম-বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার সম্মতি সাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই (বিএসএমএমইউ) তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে বলেন আদালত।
এরপর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুধু রাজধানী নয় সারা দেশেও এ বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হবে।
এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এই প্রতিবেদককে বলেন, এই আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ। আদালতের উচিত ছিল আমাদের আবেদনটি মানবিকভাবে বিবেচনায় নেওয়া। কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমরা এখন বিকল্প পথে হাঁটবো। আমরা প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছি। এ ধরণের কর্মসূচি আমরা অব্যাহত রাখবো। এই সিদ্ধান্ত হাইকমান্ডের।
হাইকমান্ডের গৃহীত এই সিদ্ধান্তে বরাবরের মতো বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। তারা বলছেন, লোক দেখানো কর্মসূচি দিয়ে হাইকমান্ড নিজেদের সক্রিয় প্রমাণ করতে চাইছে। যা ছেলে ভোলানো গান ছাড়া কিছুই না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মাঠের রাজনীতিতে প্রমাণিত- বিএনপি একটি ব্যর্থ দল। তবুও তারা নিজেদেরকে না শুধরে বরং একের পর ভুল কর্মসূচি ডেকে লোক হাসাচ্ছে। যার প্রমাণ তাদের ডাকা বিগত কর্মসূচিগুলোতে মিলেছে। হরতাল-বিক্ষোভ কিংবা সমাবেশ যা-ই ডাকা হয়েছে, তাদের দলের নেতাকর্মীরা তাতে সমর্থন না দিয়ে বরং লেপ গায়ে টেনে ঘুমিয়েছেন। যে ক’জনই বা এসেছেন, তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ফেসবুক কিংবা সেলফি উৎসবে। তাই তাদের ২৯ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভও যে সফল হবে না- এটা শুধু শঙ্কাই নয়, ধ্রুব সত্যে পরিণত হবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়