শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২
মেহেরপুরে দেশি ও হাইব্রিড জাতের করলা চাষে ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষক। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে উৎপাদিত হয় করলা। মৌসুম শুরুর আগেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দেশি ও হাইব্রিড জাতের করলা চাষে আশানুরূপ ফলন ও দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। উৎপাদিত এই করলা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
জানা যায়, এবছর জেলার ৫৭ হেক্টর জমিতে আগাম করলার চাষ হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এই করলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৩শত টন ছিল। করলার চাষে সুবিধা ও অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা করলা চাষে ঝুঁকছেন। তবে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার আগে কৃষকদের করলা বিক্রি করে ফেলার পরামর্শ দেন কৃষি বিভাগ।
কৃষকরা বলেন, করলা চাষে বিঘা প্রতি ২২ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ৫০ হাজার টাকা তার বেশি আয় হয়। ৪-৫ দিন পর পর জমি থেকে ৬-৭ মন করে করলা বিক্রি জন্য বাজারে নেওয়া যায়।
তারা আরো বলেন, করলা গাছের রোগবালাই কম হয়। তবে কখনো কখনো বৈরী আবহাওয়ার জন্য গাছ শুকিয়ে পচন রোগ দেখা দেয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ বুঝে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়।
বাজারের আড়তদাররা বলেন, আড়তে হাইব্রিড করলা ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভালো মানের করলার দাম আরো বেশি। ভালো মানের করলা ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়। যা খুচরা বিক্রেতারা কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা বেশিতে বিক্রি করে থাকেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেহেরপুরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মুজুমদার বলেন, এই জেলার কৃষকরা ধারাবাহিকভাবে করলার চাষ করে আসছেন। প্রথমে পরিক্ষামূলক হলেও পরে তা বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়। বর্তমানে কৃষকরা করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আর এর চাষ দিন দিন বাড়ছে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করছি।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়