সোমবার ০৬ মে ২০২৪ বৈশাখ ২২ ১৪৩১ ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিশাল মাঠ জুড়ে শুধু হলুদের সমারোহ। দূর থেকে দেখে মনে হবে মাটির বুকে বিশাল আকৃতির হলদে চাদর বিছানো। কাছে গেলেই দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার সূর্যমূখী মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সবুজ পাতার মাঝে হলুদ রঙের আভা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে সূর্যমুখী ফুল।
সুর্যমূখীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় জমাচ্ছেন ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সূর্যমুখীর খামারে। সূর্যমুখী ফুলের বাগান এখন হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের বিনোদন কেন্দ্র।
গবেষকরা বলছেন, সূর্যমুখী শুধু ফুলই নয়, এটি একদিকে সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষের মনের খোরাক মেটায়, অন্যদিকে এটি একটি উৎকৃষ্ট মানের তেলবীজ ফল।
ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, বছর জুড়ে নানা ধরনের তেল জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন হয়ে আসছে এ কেন্দ্রে। সূর্যমুখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণে চাষের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। চার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে তৈলবীজ। কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেসবুকের বদৌলতে গবেষণা খামারটি ফুলপ্রেমীদের পদচারণায় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
উপজেলায় বসবাসরত বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিদিন ভিড় করছেন এ সূর্যমুখী বাগানে। পরিবার পরিজন, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ কিছুটা বিনোদনের জন্য ছুটে আসছেন এখানে। কেউ আবার ছবি তুলে শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও। পিছিয়ে নেই ভিডিও তৈরি করা টিকটকাররাও।
সূর্যমুখীর খামার দেখতে আসা জুবি খাতুন বলেন, লোকমুখে শুনেছি এখানে সূর্যমুখী ফুলের বাগান আছে। তাই আগ্রহ নিয়ে এখানে ছবি তুলতে এসেছি। বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তোলা ছাড়াও ঘোরাঘুরি করছি। বেশ ভালোই লাগছে।
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের ছাত্রী জ্যোতি ও মুবার্শেরা খাতুন বলেন, সূর্যমুখীর খামারে এসে খুব ভালো লাগছে। দিগন্ত মাঠ জুড়ে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য সত্যিই অতুলনীয়।
তৃষা নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, আমার বাড়ি ঈশ্বরদীতে হলেও আমি ঢাকায় থাকি। ফেসবুকে বাগানটির ছবি দেখে বাগানে আসার আগ্রহ জন্মে। তাই বাড়িতে এসে বান্ধবীদের সঙ্গে অবসর সময়টুকু পার করতে এখানে চলে এসেছি। এখানে প্রকৃতির এমন দৃশ্যে দেখে মন ভরে গেছে।
ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, এ সূর্যমুখী ফুলের তেলে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এখানকার উৎপাদিত সূর্যমুখীর বীজ শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় বিদেশেও রপ্তানি হয়। সূর্যমুখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণের জন্য কৃষক পর্যায়ে চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য সূর্যমুখীর উন্নত জাত নির্ধারণ করে কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এ এলাকায় বিনোদনের জায়গা কম থাকায় বাগানটিতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। এখানে এসে অনেকেই সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়