শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২১
পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে পানি কমার সাথে সাথে হঠাৎ করে নদীর সাঁড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা নদী ভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। শনিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল থেকে রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হঠাৎ নদী ভাঙনে ৫০০ বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে পদ্মায়।
৩টি বালুবাহী নৌকা ডুবে গেছে, বালু উত্তোলনের ২০০ ফুট মোটা পাইপ ভেসে গেছে পানির তোড়ে। ভাঙনের খবর পেয়ে নদীপাড়ে শত শত মানুষ ছুটে গিয়ে ভাঙনের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেন।
রোববার সরেজমিন সাঁড়া ইউনিয়নের থানাপাড়া, ব্লকপাড়া ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কিছুক্ষণ পরপর পাড় ভেঙে নদীতে আছড়ে পড়ছে। নদীর পাড়ে আগে থেকে নোঙর করে রাখা ৩টি নৌকা নদী ভাঙনের কবলে পড়ে তলিয়ে গেলেও তা রক্ষা করা যায়নি। এলাকার সাইফুল আলম, সাগর হোসেন ও জিল্লুর রহমানের ৩টি নৌকা তাদের চোখের সামনেই পানিতে তলিয়ে যায়।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা ছুটে এসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীকে সান্তনা দেন। স্থানীয় এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও সাঁড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লর রহমান জানান, শনিবার বিকেলে হঠাৎ নদীতে ভাঙন শুরু হয়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানান, নদীর পানি কমে শান্ত নদীতে হঠাৎ ভাঙন শুরু হলে নদী পাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ছুটে যান নদীর পাড়ে। সাঁড়ার ব্লকপাড়া ও থানাপাড়ার বাসিন্দারা হঠাৎ ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, আচমকা নদীতে ভাঙন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মত তিনিও চিন্তিত। বিষয়টি পাবনা-৪ আসনের এমপি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে সাথে সাথেই প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান, ঈশ্বরদীর সাঁড়া এলাকায় পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি, এখনো বেড়ি বাঁধের কোন ক্ষতি হয়নি, ভাঙন বিষয়ে নজর রাখা হয়েছে, ভাঙন যদি আরো বৃদ্ধি পায় তবে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখা হয়েছে, হঠাৎ নদী ভাঙনে চরের জমি-জমা ভেঙে পড়লেও এখনো বাড়ি-ঘর কিংবা জানমালের তেমন কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়