শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২০
প্রতিকী ছবি।
করোনাভাইরাসের মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেই ঈশ্বরদীর পৌর এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি রুহুল আমিন কুদ্দুসের (৪৮) দাবিকৃত দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উস-সহকারী প্রশিক্ষক মিজানুর রহমানকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
গত সোমবার সকালে মারপিটের এই ঘটনায় রাতে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু গত তিন দিন পার হলেও আসামি কুদ্দুসসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এই কারণে ওই ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শ্রমিক ও থানা সুত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে ইনস্টিটিউটের উপ-সহকারী প্রশিক্ষক মিজানুর রহমান বেশ কিছু শ্রমিকদের নিয়ে মাঠে সরকারি ধান কাটা ও শুকানোর কাজ করছিলেন। এই সময় ঈশ্বরদী পৌর এলাকার রুহুল আমিন কুদ্দুস ও তার সহযোগী জীবন তাদের একদল সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সরকারি শর্তমোতাবেক ধান কাটা ও শুকানো হচ্ছে বলে প্রশিক্ষক মিজানুরের নিকট দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা প্রশিক্ষক মিজানুরকে মারপিট করে আহত করে। এই সময় ধান কাটা ও শুকানোর কাজে নিয়োজিত থাকা শ্রমিকরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়।
পরে অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মিজানুরসহ অন্যান্যদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার দিন রাতেই উপ-সহকারী প্রশিক্ষক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় কুদ্দুস, জীবনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
রুহুল আমিন কুদ্দুস জানান, উপ-সহকারী কৃষি প্রশিক্ষক মিজানুর রহমানের নিকট চাঁদা চাওয়া কিংবা তাকে মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটনার দিন তিনি মিজানুরের নিকট গিয়ে ধান কাটা ও শুকানোর বিষয়ে জানতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষক ও শ্রমিকদের মারপিট করাসহ চাঁদা দাবির বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
স/এমএস
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়