বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২১
পাবনার ঈশ্বরদীতে একদিনে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের পৃথক দুটি এলাকা থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়।
মৃতরা হলেন-ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিম টেংরি বাবুপাড়া রেল কলোনির এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে সোহেল আফ্রিদি (২৩)। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরজন শহরের রহিমপুর এলাকার রেজউল করিমের ছেলে মনির হোসেন (১৮)।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল দুপুরে আফ্রিদিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। একইদিন বিকেল ৫টার দিকে মনিরকে তাঁর শোয়ার ঘরে আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। ঘটনা দুইটির খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ সন্ধ্যার মধ্যেই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুম বলেন, ২০১৬ সালের প্রেম করে বিয়ে করে আফ্রিদি। দীর্ঘদিন থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। ওই কলহের কারণে হয়তো গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আফ্রিদি।
মৃত মনিরের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় থাকা অবস্থায় মোবাইলে একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় তাঁর। মেয়েটি বয়সে অনেক বড়। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওই মেয়েকে ঢাকা থেকে বিয়ে করে ঈশ্বরদীর বাসায় নিয়ে আসেন তিনি। বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কলহ। দুই দিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে স্ত্রী তাঁর বাবার বাড়িতে চলে যায়। ওই কলহের কারণে অভিমান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সুরতহালের সময় তাঁদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে কলহের কারণে দুজন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়