শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৮
ইসলামী সংস্কৃতি শুরু হয় মুসলিম দেশগুলোতে। ইসলাম ধর্ম ৭ম শতাব্দীতে আরবে উৎপত্তি লাভ করায় মুসলিম সংস্কৃতির শুরুটা ছিল প্রধানত আরবীয়। ইসলামী সাম্রাজ্যগুলোর পরিধি দ্রুত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, মুসলিম সংস্কৃতিও ইরানি, বাংলাদেশি, তুর্কী, পাকিস্তানি, মঙ্গল, চীনা, ভারতীয়, মালয়, সোমালীয়, মিশরীয়, ইন্দোনেশীয়, ফিলিপাইন, গ্রিক, রোমক, বাইজেন্টাইন, স্প্যানিশ, সিসিলিয়, বলকানীয়, পশ্চিমা সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত এবং তাদের সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে আমাদের এই উপমহাদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে এই সংস্কৃতি। এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষজন মুসলিম সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে পরে।
একটি দেশের ধর্ম সেই দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানকে প্রভাবিত করে। এজন্য আমাদের দেশে বাংলা ও ইংলিশ মাধ্যমের সাথে আরবি মাধ্যম অর্থাৎ মাদ্রাসা শিক্ষাও প্রচলিত আছে। প্রতি বছর মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী তাদের উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করছে। এই ভিত্তিতে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা দাওরায়ে হাদীসকে স্নাতকোত্তরের সম্মাননা দেয়া হয়েছে। দাওরায়ে হাদীসকে স্নাতকোত্তর (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবি) স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ৯০ দিনের কম সময় আছে, এসময় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করা হয়। হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসায় এতিম শিশুরা আশ্রয়ের পাশাপাশি শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। এটি একটি মহৎ কাজ। ‘ শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে ধর্মীয় শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ।একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তখনই পূর্ণ হয় যখন ধর্মীয় শিক্ষাও গ্রহণ করা যায়।’
দেশের ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে যথাযথ সম্মান ও সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আর্থিক সুবিধার জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট তৈরী করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা করেছে সরকার। নিরক্ষরতা দূর করার জন্য যারা এখানে শিক্ষা দেন তাদেরও ভাতার ব্যবস্থা করেছে সরকার। এর মাধ্যমে ৮০ হাজার আলেম ওলামার কর্মসংস্থান করা হয়েছে।
ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি যারা ধারণ ও চর্চা করতে চায় তাদের জন্য সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মের শিক্ষা প্রচার ও মানুষ যেন ইসলামি সংস্কৃতির শিক্ষা পেতে পারে সে কারণে এসব মসজিদ নির্মাণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন, এসব জায়গায় ইমাম মুয়াজ্জিনরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। বিদেশি অতিথিদের থাকার ব্যবস্থার পাশাপাশি যারা হজে যাবেন তারাও সেখানকার করণীয় সম্পর্কে এখান থেকে জানতে পারবেন। এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবে সৌদি আরব। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরে এই সহযোগিতার কথা জানান সালমান বিন আব্দুল আজিজ।
এক সময় দেশের মাদ্রসার শিক্ষার্থীরা অন্যান্য মাধ্যম থেকে পড়া শিক্ষার্থীদের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে থাকতো। হাজার হাজার শিক্ষার্থী যাতে অবহেলায় না থাকে এজন্য এর সর্বোচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে মাস্টার্সের সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের সকল স্তরের শিক্ষার্থীরা সমান মর্যাদা পাচ্ছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সকল শিক্ষা ব্যবস্থা।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়